জাতীয়: বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন, আওয়ামী লীগ জানে যে, তারা আনপপুলার। ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না। ২০১৪-তে নির্বাচন হয় নাই। ২০১৮ তেও হয় নাই; কিন্তু ক্ষমতায় থাকতে হবে এ জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতা অপব্যবহার করে টিকে আছে।।
অনেকের ধারণা, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। এ জন্য আওয়ামী লীগ বারগেইন নিচ্ছে। আসল কথা হচ্ছে, আমেরিকা কার্ড ফেলেনি, খেলা তো এখনো বাকি আছে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সমসাময়িক রাজনীতির টকশোতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার পার্থ। ব্যারিস্টার পার্থ বলেন, আমি মনে করি— এখনো আওয়ামী লীগের কাছে অনেক কার্ড আছে। আমেরিকা তো কার্ড ফেলেনি। কালকেই যদি কার্ড ফেলে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র যদি ১০ জনের নামে স্যাংশন, ট্রেড বন্ধ, সেনাবাহিনীকে জাতিসংঘ মিশনে নিষেধাজ্ঞা দেয় তা হলেই বুঝবেন, আওয়ামী লীগ তখন কী করে?
তিনি বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগের বডি ল্যাংগুয়েজ দেখে মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্র কিছুই করতে পারবে না। এটির উদাহরণ হচ্ছে, খালি কলসি যেমন বাঁজে বেশি, ঠিক তেমনি। ৭ তারিখের নির্বাচনের পর নিষিধাজ্ঞা আসা শুরু হলেই আওয়ামী লীগ বলবে সংবিধানের নিয়ম রক্ষার স্বার্থে এটি নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন থাকলে আবার নির্বাচন করা হোক।
তিনি বলেন, সত্যি কথা বলতে— আওয়ামী লীগ বেকায়দায় আছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য সবকিছু করছে। আওয়ামী লীগ ধরেই নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যা কিছুই বলা হোক না কেন, তাদের কিছুই যায় আসে না। ভোটচোর ও গালাগাল করুক কিছুই মনে করবে না তারা। কয়েকজনকে স্যাংশন দিলেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছেড়ে দেবে এটি ভাবার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ কিন্তু জানে, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কাকে কোন সেক্টরে কাজে লাগাতে হবে। সেখানে ব্যর্থ হলে তখন আলোচনায় বসবে এবং আবার নতুন নির্বাচন দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেবে।
ব্যারিস্টার পার্থ বলেন, আমেরিকা রিআ্যাক্ট করে না, অ্যাক্ট করে। গত এক বছর ধরে বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার সিনিয়ররা যেভাবে কথা বলছে, বৈশ্বিকভাবে বাংলাদেশ নেগেটিভভাবে উপস্থাপন হচ্ছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকা সিরিয়াস। ততক্ষণ বোঝা যাবে না, যতক্ষণ আমেরিকা কার্ড ফেলেনি। আমি মনে করি, আমেরিকা কার্ড ফেললে বোঝা যাবে। এখনো অনেক খেলা বাকি আছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |