হেড লাইন: রাব্বির মৃত্যুতে কেটে গেলো ১২দিন। আমার ছেলে আমার পরিবারের উজ্জ্বল স্বপ্ন ছিল। আমাদের সব স্বপ্ন পুলিশের গুলিতে মারা গেছে। আমরা কিভাবে নিজেদের সান্ত্বনা দেব? ছেলেকে ছাড়া আমরা কিভাবে বাঁচবো? সবসময় ফোন করে বলতো একদিন সে বড় অফিসার হবে তারপর আমাদের পরিবারে কোন দুঃখ থাকবে না। কিন্তু ১২ দিন কেটে গেল! ছেলে আমাদের আর ফোন করে না।
বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাব্বির স্মৃতিগাঁথা ছবি বুকে জড়িয়ে অশ্রুসীক্ত কন্ঠে সাংবাদিকদের কথা গুলো বলেন নিহত রাব্বি মা-বাবা এবং পরিবার। তারা আরও জানান, রাব্বি ঢাকার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ নতুন মহল্লা নামে এলাকার একটি বাসায় থাকতেন। গত ২০ জুলাই শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে রুম থেকে ঘরের বাইরে গুলাগুলির প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পান। তৎক্ষণাৎ সে তার ঘর থেকে বেরিয়ে আসে এবং সাথে সাথে চার তলা ভবনের চতুর্থ তলার বারান্দা থেকে পুলিশের গুলি চালানোর ভিডিও রেকর্ড করা শুরু করে। তখন পুলিশ তাকে গুলি করে এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায় বলে ঘটনাস্থলের সাক্ষীরা রাব্বির পরিবারকে জানায়।
রাব্বি সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের পঞ্চাশী গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। তার বাবা আব্দুর রহিম একজন রিকশাচালক। তার দুই ছেলের লেখাপড়ার খরচ বহন করতে অক্ষম হওয়ায় তিনি কঠিন কষ্টের মধ্য দিয়ে তার পড়াশোনা করতেন। পড়াশোনার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের ওয়ালটন বেস পয়েন্টের জুনিয়র অফিসার হিসেবে পারটাইম চাকরি করতেন। তিনি আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কারণ তিনি স্নাতক শেষ করার পর বিদেশে পড়ার স্বপ্ন লালন করছিলেন। কিন্তু একটি বুলেট সব স্বপ্ন ভেঙ্গে দেয়। নিহত রাব্বী মিয়ার মা রেজিয়া বেগম ও বাবা আব্দুর রহিম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের পরিবারকে তুলে ধরার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতো ছেলেটা। আমাদের সব স্বপ্ন পুলিশের গুলিতে মারা গেছে। আমরা কিভাবে নিজেদেরকে সান্ত্বনা দেব? কি অপরাধ ছিলো আমাদের সন্তানের।
সূএ: সময়ের কণ্ঠস্বর
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |