জাতীয়: জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ৭ তারিখ (রোববার) দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা গণকারফিউয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১২ দলীয় জোট। একই সঙ্গে বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ৬ ও ৭ জানুয়ারি সারাদেশে সর্বাত্মক হরতালের ডাক দিয়েছে জোটের পক্ষ থেকে।।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাব ও পল্টন এলাকায় গণসংযোগ ও মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সভার বক্তব্যে জোটের নেতৃবৃন্দ এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি দেখাতে দিনমজুর ও কাজের লোকদের এক দিনের সমান কাজের টাকা দিয়ে কেন্দ্রে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ ভোটারদের চাপ দিচ্ছে। তাই দেশবাসী মনে করে, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হয় না, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়। দেশ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবিলম্বে নির্বাচন স্থগিত করে এ সরকারের পদত্যাগ করা জরুরি।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, কথাবার্তা পরিষ্কার, আগামী ৭ তারিখ পুতুল খেলার নির্বাচন বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। গণকারফিউয়ের মাধ্যমে এ নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবে। আওয়ামী লীগ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় থাকতে ফের নির্বাচনী তামাশার আয়োজন করেছে।
গণসংযোগ ও মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিমসহ অনেকে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |