নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাই ও শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। গত সোমবার(১ জানুয়ারি) মধ্যরাতে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তায়জুল ইসলাম বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় পৃথক মামলা তিনটি করেন।
মামলায় অপর আসামিরা হলেন, হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্লা ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ফুলহরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বিপুল।
এদিকে মামলা হওয়ার পরেই তাদের গ্রেপ্তার করতে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মামলার খবর প্রচার হলেই গতরাত থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে গাঁঁ ঢাকা দিয়েছে ওই সকল আসামিরা। এরপর থেকেই প্রচার-প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে না নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আব্দুল হাইসহ তাদেরকে।তবে আজ বিভিন্ন পথসভায় ভার্চুয়ালী বক্তব্য দিতে দেখা গেছে আব্দুল হাইকে।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী জোর্য়াদ্দার জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাদের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে সহিংসতা করে জোর-জবরদস্তি করে ভোট আদায় করতে চাচ্ছিল। তবে নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু তদারকিতে এবার আর ভোটের কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। কমিশন যদি ভোট গণনা পর্যন্ত এ বলয় রাখতে পারে তাহলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটার জানান, এমপি আব্দুল হাইসহ প্রভাবশালী চার আওয়ামী নেতার মামলার খবরে এলাকায় শান্তি বিরাজ করছে। ভোটগ্রহণের আগেই যদি প্রশাসন তাদের গ্রেপ্তার করে তাহলে শান্তিপূর্ণভাবে সবাই ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাই এমপির ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল করায় পরে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |