প্রচ্ছদ আইন আদালত জাবিতে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণ: মামলায় যা বলা হয়েছে

জাবিতে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণ: মামলায় যা বলা হয়েছে

দেশজুড়ে: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মোশারফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগীর স্বামী (২৪)।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আটক ৪ জনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এরা হলেন—ফরিদপুরের ভাঙ্গার মজিবর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২৮), নওগাঁর মো. হাসির উদ্দিনের ছেলে মো. মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন (৪৪), মো. মুরাদ (২২), বগুড়ার ফজলুল হক সরকারের ছেলে মো. সাব্বির হাসান সাগর (২৪), কুড়িগ্রামের সাগর সিদ্দিকের মফিজুল হক সিদ্দিকের ছেলে সাগর সিদ্দিক (২৬) এবং রংপুরের মজিবর রহমানের ছেলে হাসানুজ্জামান (২৬)।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মো. মামুনুর রশিদ ওরফে মামুনের সঙ্গে মামলার বাদী আগে একসঙ্গে এক বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেখান থেকে তাঁদের পরিচয়। ঘটনার ১০ থেকে ১২ দিন আগে মামুন ভুক্তভোগীর স্বামীকে কল দিয়ে তাঁর থাকার সমস্যার কথা জানান। এরপর বাদী মামুনকে তাঁর বাসায় ১০ থেকে ১২ দিন রাখেন। এরপর গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে মামুন ভুক্তভোগীর স্বামীকে কল দিয়ে জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক বড় ভাই তাঁর থাকার ব্যবস্থা করেছেন। এখন থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকবেন।

এরপর মামুন ভুক্তভোগীর স্বামীকে দ্রুত তাঁর সঙ্গে দেখা করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে বলেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভুক্তভোগীর স্বামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশারফ হোসেন হলের ৩১৭ কক্ষে মামুনের সঙ্গে দেখা করেন। পরে মামুন মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. মুরাদের সঙ্গে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেন। পরে মামুন ভুক্তভোগীদের বাসায় ফেলে আসা কাপড় আনার জন্য ভুক্তভোগীর স্বামীকে বলেন, তাঁর স্ত্রীকে কল দিতে।

এরপর ভুক্তভোগীর স্বামী তাঁর স্ত্রীকে কল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেটে জামা-কাপড় নিয়ে আসতে বলেন। এর মধ্যে মামুন ভুক্তভোগীর স্বামীকে জানান, তিনি একটি দোকানে কিছু টাকা পান। কিন্তু দোকানদার টাকা দিচ্ছেন না। সে কারণে ওই দোকান থেকে ভুক্তভোগীদের জন্য টিভি-ফ্রিজ কিনে দেবেন।

পরে রাত ৯টার দিকে ভুক্তভোগী নারী ডেইরি গেটে আসলে স্বামী তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে মীর মোশারফ হলের চায়ের দোকানের সামনে আসেন। তখন মোস্তাফিজুর ও মামুন ভুক্তভোগীর স্বামীকে মুরাদের সঙ্গে হলে গিয়ে কাপড় রেখে আসতে বলেন। পরে ভুক্তভোগীর স্বামী হলে ঢুকলে মুরাদ তাঁকে পেছন থেকে থাপ্পড় দিয়ে মোবাইল কেড়ে নেন এবং হলের কক্ষে থাকতে বলেন। এর প্রায় ঘণ্টাখানেক পর মামুন ও মোস্তাফিজুর হলের কক্ষে এসে ভুক্তভোগীর স্বামীকে জানান, তাঁর স্ত্রীকে তাঁরা বাসে তুলে দিয়েছেন, তিনি চলে গেছেন। এ সময় মামুন ও মোস্তাফিজুর ভুক্তভোগীর স্বামীকে তাঁর ও স্ত্রীর মোবাইল ফোনও ফেরত দেন।

পরে ভুক্তভোগীর স্বামী হলের চায়ের দোকানের সামনে গিয়ে স্ত্রীকে দেখতে পান এবং জানতে পারেন, রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের ২ নম্বর গেটের ভেতরের এক জঙ্গলে তাঁর স্ত্রীকে মামুন ও মোস্তাফিজুর ধর্ষণ করেছেন।

এরপর ভুক্তভোগীর স্বামী মোস্তাফিজুর ও মামুনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে ফের দেখা করলে তখন তাঁরা তাঁকে বিভিন্ন ধরনের ভয়–ভীতি হুমকি-ধামকি দেন। পরে ভুক্তভোগীর স্বামী পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।