দেশজুড়ে: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদল নেতা মো: নাজমুল মৃধাকে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় তার বাবার জানাজায় অংশ নেয়ার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো: আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চের বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবী ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন। সাথে ছিলেন আইনজীবী মো: মাকসুদ উল্লাহ।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এসেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ছাত্রদল এক নেতা তার বাবার জানাজা পড়েছে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায়। বিষয়টি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন যে বর্তমানে ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে যে মামলা আছে সে মামলার অন্তর্ভূক্ত করতে। অথবা এ বিষয়ে আলাদা একটি আবেদন করতে বলেছেন। তিনি আরো বলেন, আমরা আদালতকে বলেছি রাষ্ট্র ক্রমান্বয়ে তার নাগরিকদের প্রতি হিংস্র আচারণ করছে। এবং দিন দিন এটা বেড়িই চলেছে। যে কারণে এটার একটা সেটেলমেন্ট দরকার। আমরা আরো বলেছি দেশের ভাবর্মূর্তি বহি:বিশ্বে খারাপ হচ্ছে। কারণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এগুলো আসছে যে জানাজা পড়াতে গেলেও ডান্ডাবেড়ি পরানো হচ্ছে। সবকিছু বিবেচনা করে আদালত আমাদের একটি আবেদন করতে বলেছেন। আমরা যথা শিগগিরই সম্ভব আবেদন করব। আমরা পৃথকভাবে একটি আবেদন করতে পারি বা আগের আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে পারি। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার বিরোধী যারা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী আছেন। তাদের ওপরেই এই নৃশংসতা প্রয়োগ করা হচ্ছে। এখানে রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখা।
উল্লেখ্য, গত শনিবার পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: নাজমুল মৃধা বাবার জানাজায় অংশ নেয়ার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান। কিন্তু ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় তার বাবার জানাজায় অংশ নিতে হয়। এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন ছাত্রদল নেতা মো: নাজমুল মৃধা। সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে নির্ধারিত জানাজার আগেই আয়োজন করা হয় বিশেষ জানাজার। শনিবার বেলা ৩টার দিকে পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে ওই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার সময় নাজমুলের হাতকড়া খুলে দেয়া হলেও খোলা হয়নি পায়ের ডান্ডাবেড়ি। জানাজা শেষে তাকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |