প্রচ্ছদ জাতীয় দুর্নীতি সারা বিশ্বেই আছে, অপবাদ দেয়া হয় বাংলাদেশকে: ওবায়দুল কাদের

দুর্নীতি সারা বিশ্বেই আছে, অপবাদ দেয়া হয় বাংলাদেশকে: ওবায়দুল কাদের

জাতীয়: দুর্নীতি সারা বিশ্বেই কমবেশি আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, দুর্নীতির অপবাদটা যেভাবে বাংলাদেশ নিয়ে দেওয়া হয়, তা মোটেও সত্য নয়।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

এশিয়ার মধ্যে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ ৪ নম্বরে আছে—টিআইবির প্রতিবেদনের এ তথ্যের বিষয়ে সাংবাদিকেরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, টিআইবি তো বিএনপির দালাল, বিএনপি যা বলে, টিআইবিও তা বলে। তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের কিছু রাজনৈতিক ইন্টারেস্ট (স্বার্থ) আছে। বিশ্বজুড়ে ক্ষমতার যে দ্বন্দ্ব, সেখানে অবস্থানগতভাবে কোনো কোনো জোট বা দেশের স্বার্থ সংরক্ষণের পাহারাদার এসব প্রতিষ্ঠান। ওখানে কারও স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এসব কমেন্ট (মন্তব্য) করা হয়। এসব অপবাদ দেওয়া হয়। এটা অতীতেও দেওয়া হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এগুলোর পরোয়া করি না। জনস্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। দুর্নীতি, দুর্নীতি এখন সারা বিশ্বে জীবনের অংশ হয়ে গেছে (করাপশন ইজ ওয়ে অব লাইফ অ্যাক্রোস দ্য ওয়ার্ল্ড নাও) এটা বাংলাদেশের ব্যাপার নয়, সারা বিশ্বেই আছে কমবেশি। কিন্তু যেভাবে অপবাদটা বাংলাদেশ নিয়ে দেওয়া হয়, এটা মোটেও সত্য নয়।’

বিএনপির কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচিকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা না হলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পাহারায় যাবে আওয়ামী লীগ। সহিংসতা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ত্রুটিমুক্ত গণতন্ত্র কোথাও নেই। আমাদের গণতন্ত্র রাতারাতি ত্রুটিমুক্ত হবে না। বিএনপি দেশে যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, তা গণতন্ত্রকে কণ্টকাকীর্ণ করেছে। যারা নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে, তারা কেউ ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন বলেনি। খোদ যুক্তরাষ্ট্রও বলেনি।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে একটা প্রতিক্রিয়া ছিল ওয়াশিংটনের। কিন্তু ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার কথা বলেছেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশও একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিবও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি। সরকারি দল বলে কি নিয়ম মানব না?’

মন্ত্রিসভার কলেবর বড় হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা বাড়তে পারে একটু। রিজার্ভ সিটগুলোয় (নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন) নির্বাচন শেষ হলে সেখান থেকেও যুক্ত হতে পারে। এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী যদি আরও ইচ্ছা করেন, তিনি যুক্ত করতে পারেন।

আজকের বিশ্ব পরিস্থিতি পৃথিবীময় অর্থনীতির ওপর চরম আঘাত এনেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ বাজার নিয়ন্ত্রণ ও দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশা করি, জনগণের সমস্যা সমাধানে জনপ্রতিনিধিরা কাজ করবেন।’

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন; সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।