অপরাধ: রাজধানীর খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ নন্দীপাড়ার বাসা থেকে মো. আব্দুর রহিম (৪৫) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে প্রবাস ফেরত স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে তিনি ফাঁস নেন বলে দাবি করেছে স্বজনরা।
অচেতন অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আব্দুর রহিম শরিয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুরা গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ নন্দীপাড়ার ১০নং বাড়ির টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকেন। রহিম একটি সিএনজি অটোরিকশা চালাতেন বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বজনরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খিলগাঁও থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) মো. শিহাব বাহাদুর। তিনি বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলের বাসা থেকে গলায় গামছা প্যাঁচানো ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত ওই ব্যক্তির অচেতন দেহ উদ্ধার করি আমরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
এসআই শিহাব বাহাদুর বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞেস করে জানা যায় মৃত ব্যক্তির স্ত্রী জাকিয়া বেগম জর্ডান প্রবাসী। ১০-১৫ দিন আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে তাঁর স্ত্রী গতকাল (সোমবার) বড় বোনের বাসা মিরপুরে যান। এ সময় সন্ধ্যার দিকে মৃত রহিম ভিডিও কলে স্ত্রীকে রেখে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলে পড়েন।
পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। পরে ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে স্বজনদের সহায়তায় ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।’
এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান এসআই শিহাব বাহাদুর।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |