অপরাধ: বন্ধুর বাসায় বান্ধবীকে নিয়ে বেড়াতে গেলে ওই বন্ধু চার সহযোগীকে নিয়ে তরুণ-তরুণীকে ঘরে আটকে রেখে ভিডিও করেন। সেই ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আদায়ও করেন দেড় লাখ টাকা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণ থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।।
গত ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার কদমতলী এলাকায় এ ঘটনা। ওই তরুণ ৩০ ডিসেম্বর কদমতলী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ভুক্তভোগী তরুণের বন্ধু আরিফুর রহমান (৩২), তার সহযোগী আল মামুন (৩০) ও সাইফুল ইসলাম (২৬)। এখনো পলাতক শাহাবুদ্দিন (২৫) ও তোফাজ্জল (২৬) নামের দুজন।
ভুক্তভোগী তরুণ জানান, তিনি একজন ব্যবসায়ী। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আরিফুর রহমান তার বন্ধু। গত ২৫ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি (ভুক্তভোগী তরুণ) বান্ধবীকে নিয়ে আরিফুলের বাসায় বেড়াতে যান। তখন মামলার আসামিরা তাদের আটকে রেখে প্রথমে ভিডিও করেন। ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। ওই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের মারধর করা হয়।
একপর্যায়ে তিনি দুই লাখ টাকা দিতে রাজি হন। তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের এক কর্মীর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। পরে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করার শর্তে বিকেল চারটার দিকে তারা ছাড়া পান।
ওই তরুণের ভাষ্য, ৫০ হাজার টাকা না দেওয়ায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মুঠোফোনে বারবার ফোন করে হুমকি দিতে থাকে। বান্ধবীর ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন। পরে তিনি ৩০ ডিসেম্বর মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন বলেন, মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। তারা অর্থ আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |