প্রচ্ছদ জাতীয় বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে আমিরাত?

বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে আমিরাত?

জাতীয়: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি গুঞ্জন ছড়িয়েছে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি এবং ভারতীয় শ্রমিকদের ভিসা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত।

গত কয়েকদিন ধরে এই তিন দেশের নাগরিকদের ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণেই এমন একটি গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। ভিসা বিশেষজ্ঞ এবং এজেন্টরা জানিয়েছে, এ খবরটি সত্যি নয়। তবে আপাতত দক্ষিণ এশিয়ার এ তিন দেশের নাগরিকরা খুব কম ভিসা পাচ্ছেন— সেই তথ্যটি সত্য।

মূলত শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতিগত বৈচিত্রতা আনার যে নির্দেশনা আমিরাত সরকার দিয়েছে— সে কারণেই এ তিন দেশের মানুষের ভিসা পক্রিয়া সহজে হচ্ছে না।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আমিরাতের কিছু প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানিদের ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছে না। এসব প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে এই তিন দেশের অনেক শ্রমিককে নিয়োগ দিয়েছে। ফলে যখন তারা ভিসা প্রক্রিয়ার কাজ করতে যাচ্ছেন, তখন তাদের কাছে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি সংক্রিয় বার্তা আসছে। এতে বলা হচ্ছে, ‘নিয়োগের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার বৈচিত্র সাধন করুন।’

বিষয়টি নিয়ে দুবাইয়ের একটি বিজনেস সার্ভিস সেন্টার মানবসম্পদ ও আমিরাতকরণ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, তাদের বলা হয়েছে নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই জাতিগত বৈচিত্রতা রক্ষা করতে হবে। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট দেশ থেকে শ্রমিক আনা যাবে না। তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এ বিষয়টি বৈচিত্রকরণের ব্যাপার। কোনো নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকদের জন্য কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে না।

যেসব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ ধরনের বার্তা পাচ্ছে, তাদের অন্য দেশের নাগরিকদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খালিজ টাইমস মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেছিল। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, একটি প্রতিষ্ঠানের মানবশক্তির প্রথম ২০ শতাংশে নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতিগত বৈচিত্রতা থাকতে হবে। ২০ শতাংশ কোটা পূরণ হয়ে গেলে তারা যে কোনো দেশের শ্রমিকদের নিতে পারবে। এটি বিশ্বের সবদেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কোনো আলাদা দেশের জন্য নয়। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, মেইনল্যান্ডে যেসব প্রতিষ্ঠান আছে শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রে এ নিয়মটি প্রযোজ্য হচ্ছে। ফ্রিজোনে এমন কিছু দেখা যায়নি।

সূত্র: খালিজ টাইমস

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।