সারাদেশ: নরসিংদী-৩ শিবপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান। এরই মধ্যে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার পক্ষে তার ভাগিনা মো. হুমায়ুন আফ্রাদের টাকা বিতরণের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফলে শিবপুর সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিতসহ সংঘাতের আশঙ্কা করছেন নৌকার প্রার্থী। এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে টাকা বিতরণের ভিডিওসহ নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছেন। টাকা বিতরণের অভিযোগ অস্বীকার করে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার দাবি, জনপ্রিয়তা নষ্টসহ সুনিশ্চিত বিজয় ঠেকাতে প্রতিপক্ষরা টাকা বিতরণ করে তার ওপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, নরসিংদী শিবপুর আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন ফজলে রাব্বি খান। তার সঙ্গে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন আলহাজ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। সিরাজুল ইসলাম মোল্লা গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার যোশর ইউনিয়নের যোশর বাজারের পাশে বাহাউদ্দিন স্কুলে ঈগল মার্কার উঠান বৈঠক করেন। উঠান বৈঠক শেষে স্কুলের পাশে এস বি ফ্যাক্টরির ভেতরে ভোট ক্রয়ের উদ্দেশ্যে টাকা বিতরণ করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাগিনা মো. হুমায়ুন আফ্রাদ ভোট প্রতি ১ থেকে ২ হাজার টাকা বিতরণ করেন। এরই মধ্যে টাকা বিতরণের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান বলেন, নিবার্চনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজ মোল্লা ভোট ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ করছেন। তিনি তার স্ত্রী, ভাই ও ভাগিনা ৪ ভাগে বিভক্ত হয়ে ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ করছেন। টাকা বিতরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কালো টাকা বিলিয়ে তিনি নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে। এর আগে ২০১৮ নির্বাচনে বৈতরণী পার হওয়ার জন্য তার লোকজন নৌকার প্রতীকের এজন্ট মিলন মিয়াকে কেন্দ্রের ভেতরে হত্যা করে। রাব্বি আরও বলেন, কালো টাকা আর ক্ষমতা দেখিয়ে তিনি বরবারই এমপি হতে চায়। কিন্তু এবার শিবপুরের জনগণ তা হতে দেবে না। তার আসল উদ্যেশ ভোটাররা বুঝে গেছে।
এদিকে টাকা বিতরণের বিষয়টি অস্বীকার করে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি পক্ষ আমাকে মানুষের কাছে হেও প্রতিপন্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে। তারা টাকা বিতরণ করে আমার ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমি এমপি থাকাকালে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। তাছাড়া আমি সারা বছরই শিবপুরের অসহায় ও দরিদ্র মানুষেরে পাশে দাঁড়িয়েছি। অসহায় শতশত মানুষকে চাকরি দিয়েছি। যাদের ঘর নেই তাদের ঘর করে দিয়েছি। অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসা সহয়তা দিয়েছি। মসজিদ-মাদরাসা এমনকি গত ২০ বছর ধরে শারদীয় দুর্গা উৎসবে প্রতিটি মন্দিরে মন্দিরে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। তাই শিবপুরের জনগণ আমাকে ভালোবাসে। টাকা দিয়ে আমাকে ভোট কিনতে হবে না। আবার সুনিশ্চিত বিজয় ঠেকাতে প্রতিপক্ষরা এমন গুজব তুলছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |