প্রচ্ছদ খেলাধুলা মাশরাফিহীন সিলেটের হারের বৃত্ত ভেঙে জয়, ঢাকা ‘বন্দী’ হারের বৃত্তে

মাশরাফিহীন সিলেটের হারের বৃত্ত ভেঙে জয়, ঢাকা ‘বন্দী’ হারের বৃত্তে

খেলাধুলা: টানা ৫ ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয় পেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। আগে ব্যাট করে মোহাম্মদ মিঠুনের অর্ধশতকে সিলেট তুলেছিল ৮ উইকেটে ১৪২ রান। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এই রানই মোসাদ্দেক হোসেনের দুর্দান্ত ঢাকার হারের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়, তারা করতে পারে ৯ উইকেটে ১২৭ রান।

১৫ রানে জিতে পয়েন্ট তালিকায় সিলেটের অবস্থান ছয় নম্বরে, ঢাকা তলানিতে। এই ম্যাচের আগে হুইপের দায়িত্ব নিতে বিপিএল থেকে বিরতি নিয়েছেন সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাঁর জায়গায় অধিনায়কত্ব করেন মিঠুন। তাঁর নেতৃত্বে প্রথম ম্যাচেই জিতল গতবারের ফাইনালিস্টরা। ঢাকার সামনে আজ লক্ষ্য ছোট ছিল। তবে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ইনিংসের কোনো পর্যায়ে মনে হয়নি ঢাকা ১৪২ রান তাড়া করতে পারবে। ব্যাটসম্যানদের যাওয়া–আসার মিছিলের শুরুটা সাইম আইয়ুব ও মোহাম্মদ নাঈমকে দিয়ে। দুজনেই আউট হন রিচার্ড এনগারাভার বলে।

সাইফ হাসান ইনিংসের প্রথম বলে কাভারের ওপর দিয়ে চার মেরে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। অ্যালেক্স রসের সঙ্গে তাঁর ২৮ বলে ৩১ রানের জুটি ঢাকাকে কিছু সময়ের জন্য ম্যাচে রেখেছিল। তবে ১৯ বলে ১৭ রান করে সাইফ রানআউট হওয়ার পরের ওভারেই রেজাউর রহমানের বলে ২০ রানে এলবিডব্লু হন রস। মোসাদ্দেকদের ব্যর্থতায় ম্যাচের বাকি অংশ ছিল ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। শেষ দিকে তাসকিনের ১১ বলে ২৭ রানের ইনিংস ছিল দর্শকদের কিছু পয়সা উশুলের উপকরণ। এ নিয়ে টানা ৪ ম্যাচ হারল ঢাকা। সিলেটের ইনিংসের গল্পের শুরুটা নাজমুল হোসেন কিংবা শামসুর রহমানদের নয়, ঢাকার পেসার শরীফুল ইসলামের। সিলেটের ওপেনার শামসুরকে ০ রানে ফেরানোর পর প্রথম স্পেলে আউট করেছেন নাজমুল ও জাকির হাসানকে। ছন্দ হারিয়ে খোঁজা নাজমুল আউট হন ১২ বলে ৩ রান করে। চলতি বিপিএলে সিলেটের হয়ে খেলা ৫ ম্যাচের ৪টিতেই ত্রিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলা জাকির আউট হন প্রথম বলে। শরীফুল প্রথম স্পেলে ৩ ওভার বল করে ৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। প্রথম স্পেলে শরীফুলকে সঙ্গ দিয়েছেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। তিনি উইকেট না পেলেও প্রথম স্পেলে ২ ওভার বল করে রান দিয়েছিলেন মাত্র ৪। প্রথম ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩ করা সিলেটের মান বাঁচান সামিত প্যাটেল ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন, গড়েন ৪৯ বলে ৫৭ রানের জুটি। ৩২ বলে ৩২ রান করে সামিত আউট হলেও মিঠুন অর্ধশতক করেন। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে করেন ৪৬ বলে ৫৯ রান। শেষ দিকে অলরাউন্ডার আরিফুল ইসলাম ৯ বলে ২১ রান করলে পর্যাপ্ত সংগ্রহ পায় সিলেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: সিলেট স্ট্রাইকার্স: ২০ ওভারে ১৪২/৮( নাজমুল ৩, শামসুর ০, সামিত ৩২, জাকির ০, মিঠুন ৫৯, বার্ল ১, হাওয়েল ১১, আরিফুল ২১, রেজাউর ১*, নাঈম ৬*; শরীফুল ৪-০-২৪-৪, তাসকিন ৪-০-১৯-১, গুলবাদিন ৩-০-২৫-০, আরাফাত ৪-০-২৩-২, মোসাদ্দেক ১-০-১৪-০, উসমান ৪-০-৩৬-১) দুর্দান্ত ঢাকা: ২০ ওভারে ১২৭/৯ ( সাইম ১৩, নাঈম ২, সাইফ ১৭, রস ২০, গুলবাদিন ১২, ইরফান ৪, মোসাদ্দেক ১১, আরাফাত ২, শরীফুল ৫ তাসকিন ২৭*, উসমান ৬*; আরিফুল ১-০-১৩-০, এনগারাভা ৪-০-৩০-৪, নাঈম ৪-০-১৯-১, সামিত ৩-৮-০, রেজাউর ৪–০–৪১–২ , হাওয়েল ৪-০-১৬-১)

ফল: সিলেট ১৫ রানে জয়ী

ম্যাচসেরা: রিচার্ড এনগারাভা

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।