দেশজুড়ে: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কৃষক রহিজ মিয়া হত্যাকাণ্ড মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক আয়েশা আক্তার সুমি এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কসবা উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামের জমসিদ মিয়ার ছেলে মো. জজ মিয়া। এছাড়াও তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে তিনি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। এছাড়াও জমসিদ মিয়ার ছেলে ইয়াছিন মিয়া, খোকন মিয়া, মনির মিয়া, পারভেজ মিয়া এবং রহিম বাদশার ছেলে আওয়াল মিয়া ও আশরাফুল মিয়াকে এক বছর থেকে ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে এ মামলায় আরও নয়জন আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কসবা উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামে পাণ্ডবের গোষ্ঠী ও কাবলি গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে মামলা মোকাদ্দমাসহ বিভিন্ন বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে ২০১৭ সালে ১০ এপ্রিল সকালে রহিজ মিয়া, নাবালক সর্দার ও ফরিদ মিয়া বাদৈর বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে কাবলি গোষ্ঠীর লোকজন হামলা করেন। এ সময় রহিজ মিয়াসহ তার সঙ্গে থাকা দু’জনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে রহিজ মিয়া মারা যান। এ ঘটনায় রহিজ মিয়ার স্ত্রী নার্গিছ বেগম কসবা থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরীফ হোসেন জানান, আদালতের রায়ে আমরা শ্রদ্ধাশীল। তবে এ রায়ে আমরা আংশিক সন্তুষ্ট হলেও আংশিক অসন্তষ্ট। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আদালত নয়জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব। নিহত রহিজ মিয়ার স্ত্রী নার্গিছ বেগম বলেন, আসামিরা সবাই মিলে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। অথচ একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমি এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |