প্রচ্ছদ রাজনীতি সরকার কৃপণতা করেনি, বরাদ্দের টাকা গেল কোথায়?

সরকার কৃপণতা করেনি, বরাদ্দের টাকা গেল কোথায়?

দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া জাতীয় পার্টির পরাজিত প্রার্থীরা। নির্বাচনে ভরাডুবির কারণ হিসেবে তারা চেয়ারম্যান-মহাসচিবের নেতৃত্বকে দায়ী করেন। সেই সঙ্গে তারা প্রশ্ন তোলেন নির্বাচনের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ গেল কোথায়? সরকার কোনো কৃপণতা করেনি। অর্থ দিয়েছে। সেই অর্থ কোথায় গেল?

গতকাল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা। এতে দলের বেশ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতা বক্তব্য রাখেন। সভায় নির্বাচনে পরাজিত ৯২ জন প্রার্থী অংশ নেন বলে জানানো হয়। এ ছাড়া দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা-৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় ব্যানারে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ ও চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ছবি ছিল। প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, আমার কাছে নির্বাচনের আগে ২৭ জন প্রার্থী আসলেন।

তারা বললেন, চেয়ারম্যান-মহাসচিব ফোন ধরেন না। তিন দিন চেষ্টা করেও দেখা করতে পারেননি। আমি মহাসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। তিনি বললেন, টাকা পাইছি কিন্তু অল্প। তিনি বললেন, শেরীফা কাদেরের কাছে কিছু টাকা দিয়েছি। তিনি কাউকেই কিছু না বলে নির্বাচন করতে চলে গেলেন। বললেন, শেরীফা কাদের ফোন দিয়ে যোগাযোগ করবেন, অ্যাকাউন্টে টাকা দেবেন। সেই টাকা কোথায়? আমার জানা মতে সরকার কোনো কৃপণতা করেনি। আপনারা ২৬ আসন আনছেন এটা আপনার ব্যর্থতা। স্ত্রীর সিট (শেরীফা কাদের) কনফার্ম করার সঙ্গে সঙ্গে বললেন, নির্বাচনে যাবো। শীর্ষ নেতাদের কথা ভুলে গেলেন।

২৬ আসনের মধ্যে কেন ১১টা পেলাম এটা জাপা’র ব্যর্থতা। তিনিই (মহাসচিব) প্রথম লিখলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত। এটা শুধু জাপা’র লজ্জা না আওয়ামী লীগও লজ্জা পাইছে।

তিনি বলেন, আমাদের ডেকেছিলেন কাজী ফিরোজ রশীদ ভাই। ডাকতেই পারেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম দেড় থেকে দুইশ’ লোক পার্টি অফিসে যাবো। তারা পার্লামেন্ট থেকে অফিসে যাবেন আমরা কথা বলবো। আমরা ফুল কিনলাম। গিয়ে দেখি পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। চেয়ারম্যান-মহাসচিব পুলিশ ডাকছেন। এটা পুলিশ সদস্যরা আমাকে বলেছেন। কিন্তু ওই আল্টিমেটামের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নাই। এই তুচ্ছ ঘটনার জন্য কাজী ফিরোজ রশীদকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেব আপনি রাজনীতিতে অনেক জুনিয়র। আপনি ঘুঘু দেখেছেন, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেন নাই। দেখতে চাইলে আমরা দেখিয়ে দেবো।

তিনি বলেন, মহাসচিব বারবার বলেন, চমক দেখাবেন, আমাদের রাজনৈতিক কৌশল আছে। এটাই কী চমক? এটাই কী কৌশল? চেয়ারম্যান সাহেব আপনি আপনার স্ত্রী, ভাতিজা, ভাগ্নের জন্য দেন-দরবার করলেন। ভাগ্নে আদেল কার কাছে হারছেন জানেন, জাতীয় পার্টির স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে।

তিনি কাজী ফিরোজ রশীদের বহিষ্কারাদেশ দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, আমরাও সেখানে জড়িত ছিলাম। অবিলম্বে তাদের বহিষ্কার প্রত্যাহার করেন। না হলে, এই দলে আমি থাকবো কী, থাকবো না- সেই সিদ্ধান্ত দ্রুত জানিয়ে দেবো।
কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন নুরুল কাদের সোহেল। তিনি বলেন, জিএম কাদেরের প্রতি যে বিশ্বাস রেখেছিলাম তিনি তা রাখেন নাই। কোনো একটা নেতার ফোন পর্যন্ত পাই নাই। ১০ টাকার যেখানে স্বপ্ন দেখি নাই সেখানে নাকি ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। আমার প্রশ্ন আমাকে আশ্বাস নাকি সত্যি টাকাটা দেয়া হয়েছে। আমাদের জানাবেন, ১০ লাখ টাকা কই গেল? আমার টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করবেন।

মুক্তার হোসেন সিরাজগঞ্জ-৬ থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো পরিবেশ ছিল না। দল যে আমাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেললো- এর বিচার চাই। আমি কোনো অর্থ পাই নাই। আমি ৭০০ এজেন্ট দিয়েছি। এক রাতে ১০ লাখ টাকা খরচ করেছি। আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল, সেজন্যই নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের নামে যে অর্থ বরাদ্দ করা হলো সেই অর্থ কোথায় গেল? তারা (চেয়ারম্যান-মহাসচিব) ফোন ধরেন না। কারণ টাকা আত্মসাৎ করেছে ফোন ধরে কী জবাব দেবে?

দলের ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান বলেন, দালালি করতেই যদি হয় ভালো করে দালালি করুন। সমস্ত জায়গায় আমাদের হিস্যা যখন নিশ্চিত হবে তখনই আপনার নির্বাচনে যাওয়ার দরকার ছিল, তার আগে নয়। আমরা এমন নির্বাচন করলে ৬০টা আসন পেতাম। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান অনেককে টাকা দিয়েছেন। যাদের দিয়েছেন তাদের জামানত নাই।

অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম মেম্বার লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, আমরা দুঃখী নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। চেয়ারম্যান-মহাসচিবকে বলবো এক শ্রেণির চাটুকারের মাধ্যমে দলটা ধ্বংস হচ্ছে। কিছু চাটুকার নিজেকে ঠিক রাখতে ঐক্যবদ্ধতা নষ্ট করতে চায়। জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভক্তি নাই। আগামীতেও করতে দেবো না। কিছু লোক চাটুকারিতা করে হালুয়া-রুটি খাইতে চায়। নির্বাচনের আগে অনেক কথা হয়েছে। তখন আমি বলেছিলাম এখনই নেগোসিয়েশনে যেতে। তখন সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এই অবস্থা। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নাই।

ঢাকা-৭ আসন থেকে নির্বাচন করা প্রেসিডিয়াম মেম্বার হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন বলেন, যদি চেয়ারম্যান নির্বাচনে না যেতেন তাহলে জাতীয় হিরো হতেন। চেয়ারম্যানকে বলবো, জাতীয় পার্টি না থাকলে ক্ষতি হয়ে যাবে। আমি বলবো, এই লোকদের আপনি ডাকেন। আপনি অনেককেই বহিষ্কার করতে পারবেন একটা মিলন, সেন্টু, খোকা জন্ম দিতে পারবেন না। এটা রেজাউল (প্রেসিডিয়াম মেম্বার, এড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া) না, ফিরোজ রশীদ। এদেশের সম্পদ। আপনি বোঝেন, কে ধ্বংস করেছে। সাবধান না হলে আপনি দলকে বাঁচাতে পারবেন না। আজ যারা বিক্ষুব্ধ হয়েছেন তারা তো এমনি বিক্ষুব্ধ হন নাই।

সিলেট-২ আসনের পরাজিত প্রার্থী ইয়াহ ইয়া চৌধুরী বলেন, আপনি চেয়ারম্যান, আপনার স্ত্রীর সিট কনফার্ম হলো তখন আপনি চুপ হয়ে গেলেন। উনি আপনার জন্য ভাত রান্না করা ছাড়া কী করেছেন? রওশন এরশাদ এর আগে সবার কাছে সরকারের টাকা দিয়েছিলেন, আপনি নেগোসিয়েশন করতে পারেন নাই। টাকাও আনতে পারেন নাই। তিনি মহাসচিবকে প্রশ্ন করে বলেন, আপনি আমাকে শোকজ করেছিলেন আমি নাকি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর হয়ে কাজ করছি। আপনি কেন লিখলেন আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী? এখন আপনাকে এই ২৫৮ জনের পক্ষ থেকে আমি শোকজ দিতে চাই। বহিষ্কার করতে করতে একদিন একা হয়ে যাবেন।
গাজীপুর-৪ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচনে লড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন খান বলেন, আমি তাজ উদ্দিনের এলাকায় রাজনীতি করি। দল ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে বলেই আমি নির্বাচনে এসেছি। আমরা ৩৬ জন সেদিন পার্টি অফিসে এসেছিলাম। উনি (চেয়ারম্যান) অফিসে ছিল দেখা করেন নাই। আমরা কোথায় যাবো? আমরা আশ্রয়হীন। এই অবস্থায় নির্বাচন করা যায় না। এরপর আমি নির্বাচন বর্জন করেছি। জাতীয় পার্টি যারা ভাঙছে তাদের অস্তিত্ব নাই। আমরা আর দলকে ভাঙতে চাই না।

সিরাজগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো প্রার্থী জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা পার্টি থেকে মানসিক, অর্থনৈতিক কোনো সহযোগিতা পেলাম না। তিন দিন চেষ্টা করেও আমি চেয়ারম্যান-মহাসচিবের দেখা পাইনি। টাকা তো দূরের কথা প্রেরণা, উৎসাহ পর্যন্ত তারা দেননি। নোয়াখালী-৩ আসনের পরাজিত প্রার্থী ফজলে এলাহী সোহাগ বলেন, আপনারা আল্লাহর ভয় দেখিয়েছেন। আল্লাহর কাছে আপনার হিসাব দেয়া লাগবে না? আপনারা ধাপে ধাপে এমপি হন। কর্মীরা কিছুই পায় না। আপনারা পাঁচ বছর পর পর প্রতিশ্রুতি দেন। আপনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর পরিবর্তন হয়েছেন।

একজন প্রেসিডিয়াম মেম্বার কেরানির মতো ফাইল নিয়ে ঘোরে। সে কীভাবে প্রেসিডিয়াম মেম্বার হয়? আমাদের ভোটাররা বলেন, ২৬টা মাথা বিক্রি করছেন এখন কিসের ভোট চাইতে এসেছেন? আপনারা প্রতিবার আটকায় রাখেন। আপনি দুই তিনদিন আগে এই সমঝোতা করতেন? আমরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতাম। আপনাদের সম্মান আছে, আমাদের নাই? কিন্তু আমরা জাতির সঙ্গে বেইমানি করে নাফরমান হয়ে যাচ্ছি। আমাদের কিছু মানুষ লোভী। ৩০ বছর ধরে অনেকে রাজনীতি করছে তারা নমিনেশন পান নাই। আপনি কোথা থেকে ধরে নিয়ে এসে নমিনেশন দেন। মহাসচিব কারও ফোন ধরে না।

মহাসচিবের সমালোচনার সময় সবাই ‘বাটপার’, ‘বাটপার’ বলে সেøাগান দিতে শুরু করেন। তিনি আরও বলেন, উনি কৌশল করেন। ওনার কৌশল নিজের আসন নিয়ে দলটাকেই শেষ করে দেয়া। আমরা সমঝোতা ছাড়া নির্বাচন করতাম, আমাদের সম্মান থাকতো। মহাসচিব এমন হলে এই দল কে করবে? চেয়ারম্যান সাক্ষাৎ করেন না। উনার কথায় আমরা কষ্ট পাই।

মো. ফজলুল হক (সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে পরাজিত প্রার্থী) বলেন, অনেকে বলেছেন এখানে আসলে বহিষ্কার হয়ে যাবেন। আমি বলেছি বহিষ্কার হলে হবো। যারা নির্বাচন করে মেম্বারও হইতে পারবে না তারাই দালালি করে। ভালো হয়ে যান। যারা চক্রান্ত করে তারা থাকবে না। এদের বিরুদ্ধে হবে আমাদের আন্দোলন। কোনো দালালের আস্তানা যেন পার্টিতে না থাকে। ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে হবে।

জাতীয় পার্টি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন আরা সুলতানা রিমা বলেন, আমাদের পার্টিতে একটা সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। চেয়ারম্যানের আশপাশে সব দালালদের দেখা যায়। চেয়ারম্যান বুঝতে পারছেন না আশপাশের লোকেরা তাদের শুষে নিয়ে শেষ করে দিচ্ছেন। মহাসচিব বলছেন, আমি আমার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম এটা কথা হতে পারে। মহাসচিব হলেন অভিভাবক এই তার নমুনা। এই যে মনোনয়ন বাণিজ্য হলো সেই টাকাগুলো তারা দিতে পারতেন না? শেরীফা কাদেরকে কেন নির্বাচনের আগে প্রেসিডিয়াম মেম্বার বানানো হলো?
কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ মো. আব্দুল বাতেন বলেন, আমি জানি বেশি কথা বললে আমাকেও বহিষ্কার করা হতে পারে। কুচক্রী মহলের বিষয়ে সতর্ক না হলে চেয়ারম্যান ধ্বংস হয়ে যায়। বাবলা, সেন্টু, খোকার নেতৃত্বেই চলবে জাতীয় পার্টি। আপনারা যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন এভাবেই থাকবেন। যুগ্ম মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন বলেন, আমরা দলে কিছু দালাল পেয়েছি। জিএম কাদেরের আশপাশে যারা আছে তারা হাইব্রিড নেতা। সমঝোতা করে নক্ষত্রকে (ফিরোজ রশীদ, সুনীল শুভ রায়) ঝরিয়ে দিলেন। আমাদের আসন না দিয়ে আপনি আপনার স্ত্রীর কথা চিন্তা করেছেন। সমঝোতা না করলে এই ক্ষোভের সৃষ্টি হতো না। টাকা তো দূরের কথা ফোনটাও রিসিভ করেন না।

আলোচনার শুরুতে বক্তব্য রাখেন কো-চেয়ারম্যান সভার সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। তিনি বলেন, আমরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের কথা শুনতে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছি।
আমরা দল ভাঙার জন্য সমবেত হয়নি। জাপাকে ব্রাকেটবন্দি করার কোনো প্র‍য়াশ নাই। এই সভা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। গত বুধবার পার্টি অফিসে আমরা গিয়েছিলাম। কিন্তু যে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল তার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই। আমরা তদন্ত করে দেখবো এটা কে বা কারা করেছে।

সভা শেষে তিনি আবারো বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, আমার ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়। চেয়ারম্যান আপনার ভুল ভ্রান্তি আছে। মহাসচিব, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আপনারা ফোন ধরেন না। তাই বলে আমরা পার্টি অফিসে যেতে পারবো না? আমরা কাজী ফিরোজ রশীদের বাসায় গিয়েছিলাম। ওখানে কে বা কারা আল্টিমেটাম দিয়েছে তা জানি না। আমরা এটা তদন্ত করে দেখবো। এক আল্লাহ ছাড়া কেউ এই পার্টিকে ভাঙতে পারবে না। আপনারা আমাদের ডাকুন কথা বলুন। আপনি তেলাপোকা-ইঁদুরের কথা শুনবেন না। যারা দল ভাঙবে তাদের আমরা খতম করে দেবো।
ওদিকে সভার পর রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচন করা ইয়াহ ইয়া চৌধুরীকে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তরের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।