প্রচ্ছদ জাতীয় হাজির না হয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন বেনজীর

হাজির না হয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন বেনজীর

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদিনও হাজির হননি সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।

তবে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগের বিষয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন। বলেছেন, নির্ধারিত সময়ে দুদকে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বেনজীর আহমেদ এবার যদি হাজির না হওয়ায় আর সময় পাবেন না বলে এর আগেই জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর আহমেদকে গত ৬ জুন এবং তার স্ত্রী জীশান মীর্জা ও দুই মেয়েকে ৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে তলব করা হয়।

কিন্তু এর আগেই বেনজীর আহমেদ স্বপরিবারে বিদেশে চলে গেছেন বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

কিন্তু বেনজীরের পক্ষে তার আইনজীবী ১৫ দিনের সময় চাইলে ২৩ জুন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে বলা হয়। আর তার স্ত্রী ও কন্যাদের দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে এর পরের দিন ২৪ জুন অর্থাৎ সোমবার।

দুদক সচিব খোরশেদা সাংবাদিকদের বলেন, বেনজীর আহমেদ আইনজীবীর মাধ্যমে গত ২১ জুন দুদক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। এবারের চিঠিতে নতুন করে সময়ের আবেদন করেননি।

লিখিত বক্তব্যে বেনজীর আহমেদ নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানান তিনি।

দুদক সচিব বলেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য আজ দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু তিনি যথাসময়ে উপস্থিত হবেন কি না, সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানাননি বা অবগত করেননি।

সম্প্রতি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিপুল সম্পত্তি নিয়ে সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এরপরই তদন্ত নামে দুদক।

এরপর বেনজীর, তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে কয়েকশো বিঘা সম্পত্তি, প্রায় তিন ডজন ব্যাংক হিসাব ও কয়েকটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পায় দুদক। সেগুলো জব্দ ও অবরুদ্ধ করার জন্য আদালতেরও অনুমতি পেয়েছে দুর্নীতি দমন সংস্থাটি।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বেনজীর ও তার পরিবারের নামে থাকা স্থাবর অস্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেয়ার পর সেসব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়োগ করা হয় তত্ত্বাবধায়ক।

বেনজীর আহমেদ ২০১০ সালের দায়িত্ব নেন ডিএমপির কমিশনারের। ২০১৫ সালে হন র‍্যাবের মহাপরিচালক। এরপর ২০২০ নিয়োগ পান আইজিপি হিসেবে। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যান সাবেক তিনি।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।