প্রচ্ছদ হেড লাইন ৭ তারিখের পর নাসিরনগরে পা রাখতে দেব না

৭ তারিখের পর নাসিরনগরে পা রাখতে দেব না

অপরাধ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরুদ্দোজ্জা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে ৭ জানুয়ারির পর নাসিরনগরে পা রাখতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার।

গত বুধবার রাতে নাসিরনগর উপজেলা সদরে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় এ হুমকি দেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার একটি ভিডিও এসেছে। সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। ভিডিওতে রোমা আক্তারকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা নাসিরনগরের মানুষ সহজ সরল মানুষ। দাঙ্গা-হাঙ্গামা চাই না। আমাদের নেতৃবৃন্দ যে জেল খেটেছেন, সেটা আমাদের কলঙ্ক।

আপনাদের কাছে আকুল আবেদন ভোট দিয়ে অধিকার ছিনিয়ে নিবেন। ওনি যে বেইজ্জতি করেছেন, তার জন্য ধিক্কার জানাই। তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হয়রানি করেছেন।

ওনি নাসিরনগর এসেছেন প্রবীণ নেতৃবৃন্দের নাম মুছে ফেলার জন্য। আরে নাম মুছে ফেলা এত সহজ নয়। এটা কাগজে লেখা নাম নয়। মানুষের হৃদয়ে লেখা না মুছে ফেলতে পারবেন না। তবে আপনার নাম কেন।
৭ তারিখের পর নাসিরনগরের মাটিতে আমরা আপনাকে আমরা পা রাখতে দেব না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল সংগ্রাম হটাও নাসিরনগর বাঁচাও। আমি মনোনয়ন চেয়েও পাইনি। আমাদের সকলের মনের আশা ওনি (একরামুজ্জামান) পূরণ করবেন।’

রোমা আক্তার তাঁর বক্তব্যে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ি প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান। এ বিষয়ে বদরুদ্দোজ্জা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বলেন, ‘ওরা তো কত কিছুই বলছে। এ বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আমি বলবো মানুষ যেন কেন্দ্রে গিয়ে ভাট দিতে পারে, সুষ্ঠু ভোট হয় সে বিষয়টি মাথায় রেখে সবাই কথা বলবেন।’

হুমকির ঘটনায় বক্তব্য নিতে আওয়ামী লীগ নেত্রী রোমা আক্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এর আগে নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেওয়ায় অভিযোগে সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মো. ফরাহদ হোসেনকে ‘তলব’ করেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

গত ২৩ ডিসেম্বর‘চেয়ারম্যানের নাম মুছে দিতে চান এম.পি এ শিরোনামে খবর প্রকাশ হলে সেটির সূত্র ধরে তাকে তলব করা হয়। পরে সশরীরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে হাজির হয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানার অঙ্গীকার করেন এবং অভিযোগ অস্বীকার করেন।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।