প্রচ্ছদ হেড লাইন অন্তরঙ্গ ছবি স্বামীর কাছে, যা করলেন প্রবাসী নারী

অন্তরঙ্গ ছবি স্বামীর কাছে, যা করলেন প্রবাসী নারী

হেড লাইন: রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে উদ্ধার আরিফুল ইসলামের মৃত্যুর পর নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, তাকে হত্যা করেছেন পারভীন আক্তার নামের এক নারী। তিনি কানাডাপ্রবাসী। সম্প্রতি তারা একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন।

আরিফুলের লাশের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই চিরকুটে লেখা আছে, ‘আমার জীবনে শান্তি নষ্ট করে দিছে এই রেপিস্ট! ব্ল্যাকমেইলার সে!! তার নিজের ইচ্ছায় আমার হাতে ধরা দিয়েছে। তাই নিজ হাতে রেপিস্ট ব্ল্যাকমেইলারকে মেরে শান্তি নিলাম।’ পুলিশ জানিয়েছে, আরিফের জাপানি স্ত্রী রয়েছে এবং পারভীনেরও স্বামী-সন্তান রয়েছে। এর পরও তারা কেন বিয়ে করলেন এবং পারভীন আরিফকে খুন করলেন, সেই রহস্য খোঁজা হচ্ছে। আরিফুল ইসলামের সঙ্গে প্রেম ছিল পারভীনের। নোটারি কাবিননামার মাধ্যমে ২০২১ সালে তারা বিয়ে করেন নরসিংদীতে। বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় বাংলাদেশে এসে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয় আরিফুলকে। এ হত্যাকাণ্ড পারভীন আক্তারই ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। খুনের পর পারভীন দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় হত্যাকাণ্ডের কারণ ও বিস্তারিত বিবরণ মিলছে না। পারভীন গত ১৬ মে কানাডা থেকে বাংলাদেশে আসেন। ১৮ মে তিনি আবার কানাডায় চলে যান। তার মোবাইল নম্বরের সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত হয়েছে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
গত ১ জুন আরিফুলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল শেষ করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ভাটারা থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘আরিফ জাপানে ব্যবসা করেন, সেখানে নাচুকি নামের এক জাপানি মেয়েকে বিয়েও করেন। ওই জাপানি স্ত্রী কখনো বাংলাদেশে আসেননি। এদিকে পারভীনেরও স্বামী-সন্তান রয়েছে। এ অবস্থাতেই তারা নোটারির মাধ্যমে বিয়ে করেন। কেন বিয়ে করেন, কেনই বা দেশে এসে এই হত্যাকাণ্ডএসব বিষয়ে তদন্ত চলছে।’ এদিকে অভিযুক্ত পারভীন আক্তারকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহায়তায় ইন্টারপোলে চিঠি দেওয়া হবে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।