মিডিয়া: রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। তাদের বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
সেই সমালোচনা আরও তীব্র হয়ে ওঠে একুশের মেলায় বই প্রকাশের পর। মেলায় নিয়মিত তার বই ছাপানোর সেই প্রকাশনী স্টলে গেলে গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কিছু মানুষের তোপের মুখে মেলা ছাড়তে বাধ্য হয় এই ‘অসম’ জুটি। নিরাপত্তা চেয়ে শনিবার রাত ৯টার পর খন্দকার মুশতাক আহমেদ শাহবাগ থানায় গিয়ে জিডি করেন।
এবার নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে হঠাৎ লাইভে আসেন মুশতাক-তিশা। লাইভে এসে মুশতাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমাকে এবং স্ত্রী তিশাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কি বাঁচার অধিকার নেই? আমরা কী দোষ করেছি। আমরা শরিয়তসম্মতভাবে আইন মেনে বিবাহ করেছি। বইমেলায় আমাদের ২টি বই প্রকাশ হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমি শাহবাগ থানায় নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছি। আপনাদের সকলকে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি। গত ৯ তারিখও আমাদের উত্ত্যক্ত করা হয়েছে। আমি এবং স্ত্রী অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যারা আমাদের হত্যার হুমকি দিয়েছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করছি।
লাইভে এসে খন্দকার মুশতাকের স্ত্রী তিশা বলেন, আমি একজন নারী আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই? আমরা সম্পূর্ণ শরিয়তসম্মতভাবে বিয়ে করেছি। কিন্তু আমাদের এভাবে প্রকাশ্যে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
মুশতাক বইমেলায় বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, কিছু দুষ্কৃতকারীরা বইমেলাতে আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে, বই ছিঁড়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল আমাদের নিরাপত্তা দেওয়া।
খন্দকার মুশতাকের করা জিডিতে বলা হয়েছে, একুশে বইমেলা উপলক্ষে মিজান পাবলিশার্স থেকে তাদের ‘তিশা অ্যান্ড মুশতাক’ ও ‘তিশার ভালবাসা’ নামে দুটি বই প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশনা ও পাঠকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের উদ্দেশে শুক্রবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত অমর একুশে বইমেলায় যান তারা। এ সময় ক্রেতা ও ভক্তদের সঙ্গে মতবিনিময়, ছবি তোলা ও অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন।
হঠাৎ উপস্থিত অজ্ঞাতনামা কিছু লোকজন তাদের হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশে নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকে। এ সময় খন্দকার মুশতাক আহমেদের প্রকাশিত কয়েকটি বই ছিঁড়ে ফেলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |