সংবাদ: ‘আমরার কপালের পরিবর্তন নাই, ৪০ বছর ধইর্যা এইবায় আছি। যহন থাইক্যা বুঝতাম শিখছি তহন থাইক্যাই বাসে বাসে চানচুর বেচি (বিক্রি)। এই বায়েই সংসার চলতাছে। ভোটের আগে কয় এই করব সেই করব।
ভোট দেই, নেতা বানাই, কিন্তুক আমরার কোনো পরিবর্তন নাই। চানাচুর বেইচ্যাই যহন দিন যাইব, তহন অন্য চিন্তা কইর্যা লাভ কী? ভোটকেন্দ্রে যাইয়াম বিহিকিনির লাইগ্যা―তার পরও সুযোগ পাইলে পছন্দের প্রার্থীরে ভোট দিয়াম।’
গতকাল সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে নান্দাইলে এমকে সুপার পরিবহনে চানাচুর বিক্রি করছিলেন মজিবুর রহমান (৫০)। তিনি এ প্রতিনিধির সাথে কথা বলার সময় ওপরের কথাগুলো বলেন।
চানাচুর বিক্রিওয়ালা মজিবুরের বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগটুলা গ্রামে। তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়ে আছে। চানাচুর বিক্রি করে সংসার চালান। ভোট দিতে যাবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গেলে কিতা অইব।
আর তা ছাড়া এই পর্যন্ত কেউ তো ভোট চাইতে আইলো না। হুনছি চার-পাঁচজন খাড়াইছে। দুইজনের আওয়াজ পাই। তার মধ্যে একজন গত দুইবার ধইর্যা আছিন। হেইল্যা জাতীয় পার্টির।
’
তিনি বলেন, ‘অনেকে ভোট না দিলেও এমপি অইছে। কিন্তু তাঁরে দেখতাম পারছি না। আর আরেকজন পক্কি (ঈগল) লইয়া নির্বাচন করতাছে। খালি মাইক আর মিছিল। গেরামো যাইতে দেহি না। আগে তো দেখতাম রাইত নাই দিন নাই বাড়িত বাড়িত যাইয়্যা ভোট চাইত। অহন কী অইল, কেউরে চোহেও দেখলাম না। আমি চানাচুর বেচি, যেহানে মানুষ বেশি হেইহানো ভালা বিহি অয়। ভোটের দিন বেশি বিহি অইব, এর লাইগ্যা অহন থাইক্যা প্রস্তুতি নিতাছি। মাথায় অন্য কোনো চিন্তা নাই।’
এভাবেই কথা বলতে বলতে একসময় মজিবুর হাতে থাকা বালতিতে চানাচুরসহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে নেমে পড়েন। যাওয়ার সময় বলে যান, ‘স্যার আমরা ভোটের আগে মূল্যবান, ভোট গেলেই মূল্যহীন।’
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |