জাতীয়: সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে হেনস্তার ঘটনায় ৩ মাস্টারমাইন্ডসহ প্রায় সবাইকেই শনাক্ত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জেনেভায় লোকাল স্টাফ হিসেবে আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মচারী মিজানের চাকরি ডিসমিসের সিদ্ধান্ত হয়েছে। হেনস্তার ঘটনার ৩ মাস্টারমাইন্ডসহ প্রায় সবাইকেই শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, ওই ঘটনার পর বিদেশস্থ বাংলাদেশের সব মিশনে জরুরি পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। সেই পরিপত্রে মোটাদাগে দুটি বিষয় উল্লেখ করা হয়।
১. সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের বিদেশ সফরকালে যথাযথ প্রটোকল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সব শ্রম সমস্যা সমাধানের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার
২. যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে রাষ্ট্রদূতসহ সকলকে সচেষ্ট থাকা উচিত।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান জানান, উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে হেনস্তার ঘটনার সঙ্গে জেনেভা মিশনে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা এবং এক লোকাল স্টাফের যোগসূত্র থাকার সন্দেহে লেবার কাউন্সেলর মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। তাকে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ঢাকায় ফিরতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, এমন কাজ মোটেও প্রত্যাশিত নয়। দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর আসিফ নজরুলকে হেনস্তা করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, একদল লোক আসিফ নজরুলকে ঘিরে ধরেন। তারা তার সঙ্গে উত্তেজিত ভাষায় তর্ক করছেন, বারবার প্রশ্ন করছেন, ‘আপনি মিথ্যা বলেছেন।’ ভিডিওতে শোনা যায়, আসিফ নজরুল বলছেন, ‘আপনি গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন?’ তখন হেনস্তাকারীদের ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
সূত্র : কালবেলা
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |