দেশজুড়ে: গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলামের পরকীয়া প্রেম ও বিয়ে নিয়ে তোলপাড় চলছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) তার বিয়ের নথি ভাইরাল হয়েছে। ঘটনা জানাজানির পর ওই ওসিকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জয়দেবপুর থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন মিজানুর ইসলাম। এর আগে তিনি মানিকগঞ্জ সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। সেসময় মানিকগঞ্জের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর (২৪) সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি সেই প্রেমিকা গাজীপুরে এলে তাকে স্থানীয় শালবন গ্রিন ভিউ রিসোর্টে থাকার ব্যবস্থা করেন ওসি মিজানুর ইসলাম।
বুধবার তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হলে বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরবর্তীতে তড়িঘড়ি করে বৃহস্পতিবার দুজনের মধ্যে ১০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের নথিতে দেখা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্টার খন্দকার আব্দুল মতিন তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করেন। এতে বরের কোনো স্ত্রী নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও ওসি বিবাহিত এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এ ঘটনার পর মিজানুর ইসলামকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার স্থলে জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলামকে অতিরিক্ত হিসেবে ওসি’র দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য তাজুল ইসলাম স্থানীয় সদস্যদের বরাত দিয়ে বলেন, ওই ছাত্রী মানিকগঞ্জ সদরে থেকে পড়াশোনা করেন। তার সঙ্গে এক পুলিশের সম্পর্কের বিষয়ে কিছুদিন আগে এলাকায় জানাজানি হয়। গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে বিয়ের ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়। জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে আমি ওসি’র দায়িত্ব পালন করছি। গাজীপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জয়দেবপুর থানার ওসি মিজানুর ইসলামের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। এরপরও গোপনে এক নারীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে বলে জানা গেছে। এক সপ্তাহ আগে ওই নারীকে গাজীপুরে এসে স্থানীয় শালবন নামের একটি রিসোর্টে রাখেন। এর মধ্যে কোনও এক সময় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। পরে ওই নারী ওসির অজান্তে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানান। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। গাজীপুর জেলা পুলিশ (এসপি) সুপার কাজী শফিকুল আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দায়িত্বরত অবস্থায় ‘নৈতিক স্খলন’ জনিত কারণে জয়দেবপুর থানার ওসি মিজানুর ইসলামকে থানা থেকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |