প্রচ্ছদ বিনোদন কলকাতায় ‘অসহায়’ পরীমণি, যা জানা গেল

কলকাতায় ‘অসহায়’ পরীমণি, যা জানা গেল

ছোট্ট পদ্মকে নিয়ে হঠাৎ তড়িঘড়ি করে ভারতের কলকাতায় গেছেন পরীমণি। বুধবার রাতে কলকাতায় গিয়ে পৌঁছান এ অভিনেত্রী। পরিদিন বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন। যা ঘিরে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পরী ভক্তদের কপালে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ১টার দিকে একটি পোস্টে পরীমণি লিখেন, ‘এত অসহায় জীবনে আগে কখনো অনুভব করিনি! আল্লাহ সহায়।’ লোকেশনে—অ্যাপোলো হাসপাতাল, কলকাতা জুড়ে দিয়েছেন তিনি।

তার এমন পোস্টের পর ভক্তদের আর বুঝতে বাকি নেই, প্রিয় নায়িকা সত্যিই বড় বিপদে আছেন। তার পোস্টে অনেকেই কমেন্ট করে দোয়া করেছেন।

আগে জানা গিয়েছিল, পরীর ছেলে পদ্ম ভীষণ অসুস্থ। পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী এক পোস্টে জানিয়েছিলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে টানা ৭ দিন থাকার পর, ছেলের চিকিৎসার জন্যে সরাসরি কলকাতার পথে পরীমণি। তিনি বলেন, ‘পদ্ম খুব খুব অসুস্থ। তার ২টা ভাইরাস ধরা পড়েছে। পরীও পুরোপুরি সুস্থ না কিন্ত কিছুই করার নেই। আপনারা সবাই পদ্মর জন্যে পরীর জন্যে দোয়া/প্রার্থনা করবেন। যেন আমাদের আদরের বাচ্চাটা সুস্থ হয়ে ফিরে আসে। পদ্ম খুব কষ্ট পাচ্ছিল।’

এদিকে ছেলের সুস্থতা, কামনায় পরী এর আগেও সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দিয়েছিলেন। তার ছেলে অসুস্থ তা অভিনেত্রী আগেই জানিয়েছিলেন। শীতকালে আরও বেশি অসুস্থতা ঘিরে ধরেছে। পরী লিখেন, ‘শীতকালে সবাই খাবার দাবার বুঝে খাবেন। বিশেষ করে বাইরের খাবার। এত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস শীতের সময় এসব থেকে সেইফ থাকা মুশকিল। বরিশাল থেকে ফেরার পথে একটা ফলের দোকান থেকে কিছু ফল কিনেছিলাম। বাসায় ফল খাওয়ার আগে রেগুলার যেভাবে ক্লিন করা হয় সেভাবে না করেই শুধু মিনারেল ওয়াটার দিয়ে ধুয়ে খেয়েছিলাম। বাবু খুবই অল্প পরিমাণ মানে দুই একটা বাইট নিয়েছিলো। ব্যাস! বাচ্চা, আমি, আমার গাড়ি চালকসহ আমার বাসার মোট পাঁচ জন ফুড পয়জনিং নিয়ে ১১ তারিখ রাত থেকে হসপিটালে। সবাই মোটামুটি রিকভার করলেও পুন্য এখনো হসপিটালাইজড!’

কয়েক দিন আগেই নিজের কাছের মানুষকে হারিয়েছেন পরীমণি। দাদুকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তাকে কবর দেওয়ার পর যেন আরও নিজেকে শক্ত করে ধরেছেন। সেই শক্ত পরী এখন কলকাতায় ছেলেকে নিয়ে অসহায়ত্বের কথা জানিয়েছেন।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।