হেড লাইন: কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিবা গার্ডেনের যে ফ্ল্যাটে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের খণ্ডিত মরদেহ পাওয়া যায়, তা ভারতীয় শুল্ক দপ্তরের একজন কর্মকর্তার। আর তা ভাড়া দেওয়া হয়েছিল একজন বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে। খুনের আগে প্রায় ২০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়ে সেখানে আলোচনা চলছিল বলে পুলিশ ক্লু পেয়েছে। এ বিষয় কলকাতার সাংবাদিক সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া তথ্যমতে, গত ১৩ মে এমপি আনার খুন হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। তিনি কোনো পাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে থাকতে পারেন। প্রায় ২০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়ে সেখানে আলোচনা চলছিল বলে পুলিশ ক্লু পেয়েছে। এই চক্রের সাথে মোট ৬ জন জড়িত বলেও ধারণা করছেন তারা। এদের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে ভারতীয় নাগরিকও রয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আইজি (সিআইডি) অখিলেশ চতুর্বেদী জানান, যেই ফ্ল্যাটটিতে সংসদ সদস্য এসে উঠেছিলেন সেটি সন্দীপ রায় নামে এক ব্যক্তির। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরে কাজ করেন। তিনি ভাড়া দিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (প্রবাসী বাংলাদেশি) বাসিন্দা আখতারুজ্জামান নামের এক ব্যক্তিকে। ভারতীয় পুলিশ বলছে, আনোয়ারুল আজীম যখন তার বন্ধুর বাসা থেকে বের হন, তখনও তার সাথে বেশ কয়েকজন দেখা করেন। আনারের সাথে কথাও বলেন তারা। পরে তাদের সাথে একটি গাড়িতে করে চলে যান এমপি আনার।
এদিকে, এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত অংশ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তার ভারতীয় ঘনিষ্ঠ বন্ধু পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার মলপাড়া লেনের বাসিন্দা স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ১৩ মে দুপুরে চিকিৎসককে দেখানোর উদ্দেশে বেরিয়ে যান। কিন্তু সন্ধ্যায়় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি।
উল্টো দিল্লি গিয়ে সেখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে জানান, তাকে আর ফোন করতে হবে না। দরকার হলে তিনি তাকে (গোপাল বিশ্বাস) ফোন করবেন। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনোভাবেই তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবে উৎকণ্ঠা ছড়ায় তার বাংলাদেশের বাসায়। পাশাপাশি গোপাল বিশ্বাসও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এরপরই কোনও উপায় না দেখে গত ১৮ মে শনিবার বরানগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন গোপাল বিশ্বাস। জিডিতে গোপাল বিশ্বাস লিখেছেন, গত ১৩ মে দুপুর দেড়টার পর ডাক্তার দেখানোর কথা বলে আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যান আনোয়ারুল আজীম আনার। যাওয়ার সময় বলে যান, দুপুরে খাবো না, সন্ধ্যায় ফিরে আসবো। যাওয়ার সময় নিজে গাড়ি ডেকে বরাহনগর বিধান পার্ক কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে গাড়িতে উঠে চলে যান। এরপর তিনি সন্ধ্যায় বরাহনগর থানার অন্তর্গত মণ্ডলপাড়া লেনে বাড়িতে না ফিরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেন, আমি বিশেষ কাজে দিল্লি যাচ্ছি। গিয়ে ফোন করবো, তোমাদের ফোন করার দরকার নেই। গোপাল বিশ্বাস মিসিং ডায়েরিতে আরও লিখেছেন, গত ১৫ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে জানান, আমি দিল্লি পৌঁছালাম, আমার সঙ্গে ভিআইপিরা আছে, ফোন করার দরকার নেই।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |