নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় বাদী-বিবাদীকে আটক করে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠা দুই এসআইকে স্ট্যান্ড রিলিজ (তাৎক্ষণিকভাবে বদলি) করেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠা এসআই আশরাফুল ইসলামকে নোয়াখালীর হাতিয়া থানায় ও সাজ্জাদ হোসেনকে ভাসানচর থানায় তাৎক্ষণিকভাবে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় মামলা দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। পুলিশ আইন এবং জনসেবায় একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। এখানে বিশৃঙ্খলার কোনো সুযোগ নেই।
এর আগে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বাদী-বিবাদীকে আটক করে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে এই দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রুহুল আমিন সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে প্রতিবেশী খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালত উভয়পক্ষকে নিষেধাজ্ঞা দিলে গত ১৭ জানুয়ারি থানার এএসআই ফরিদ মিয়া সতর্কতার নোটিশ জারি করেন।
এরমধ্যে সোমবার (২২ জানুয়ারি) ওই সম্পত্তিতে কাজ করতে গেলে দুই পক্ষের মারামারির উপক্রম হয়। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে ঘটনাস্থল থেকে বিবাদী খোরশেদ আলমসহ উভয়পক্ষের চারজনকে আটক করেন এসআই আশরাফুল ইসলাম। পরে থানা থেকে আটক আসামি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে খোরশেদ আলমের আত্মীয় নাইমুল হক ইভানের কাছ থেকে এসআই আশরাফ পাঁচ হাজার এবং এসআই সাজ্জাদ ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। কিন্তু টাকা নিয়েও আসামি ছেড়ে না দিয়ে চালান দেওয়ায় আপত্তি তোলে খোরশেদ আলমের পরিবার।
এর মধ্যে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা ভুক্তভোগীর আত্মীয় ইভানের বাড়িতে গিয়ে ঘুষের টাকা ফেরত দিয়ে আসেন। এরপরই গত বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ইভান।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |