চট্টগ্রামে বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা চলছে। বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়ে প্রথম ইনিংস ঠিকঠাক কাটানো গেলেও দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই বৃষ্টির বাগড়া। এ নিয়ে দুইবার বৃষ্টির হানায় খেলা বন্ধ হয়েছে। তবে ম্যাচের মীমাংসা হওয়ার মতো ওভার এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। যে কারণে ডিএলএস মেথডে নজর সবার।
দ্বিতীয় দফার বৃষ্টির আগে ৭ দশমিক ২ ওভারের খেলা মাঠে গড়িয়েছে। সফরকারী জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৪ রান।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ বলছে, এই পর্যায়ে বৃষ্টি আইনে জিম্বাবুয়ের চেয়ে ১ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা। ফলে বল আর মাঠে না গড়ালে ম্যাচের ফল সফরকারীদের পক্ষে যাবে।
অবশ্য আরেক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো বলছে, ডিএলএস মেথডে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। তাদের মতে, এই পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩৯ রান। সেখানে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৪৪। অর্থাৎ ৫ রানে এগিয়ে আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ৪১ রান যোগ করতেই ৭ উইকেট হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় পড়ার শঙ্কায় ছিল সফরকারী জিম্বাবুয়ে।
কিন্তু ৮ম উইকেটে মাসাকাদজা–মাদান্দের ৬৫ বলে ৭৫ রানের অবিশ্বাস্য জুটিতে ভর করে শুধু লজ্জাই এড়াল না, সেই সঙ্গে সম্মানজনক পুঁজিও দাঁড় করাল সফরকারীরা। নির্ধারিত ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
স্বাগতিক বোলারদের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেছেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ। এ ছাড়া দুটি উইকেট শিকার করেছেন শেখ মেহেদী।
টার্গেট তাড়ায় শুরুতে উইকেট হারায় বাংলাদেশও। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ব্লেসিং মুজারাবানির ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি যেন বুঝতেই পারলেন না লিটন কুমার দাস। বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন তিন বলে স্রেফ এক রান।
শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে তানজিদ তামিম ও শান্তর জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তানজিদ ২৪ বলে ২৮ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ১৭ বলে ১২ রানে খেলছেন। বাংলাদেশের জয়ের জন্য এখনো প্রয়োজন ৭৬ বলে ৮১ রান।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |