অপরাধ: চট্টগ্রামের পটিয়ায় গায়ে হলুদের দিন গলায় ফাঁস দিয়ে রীমা আক্তার (২০) নামে তরুণীর আত্মহত্যার ঘটনায় হবু স্বামী মিজানুর রহমান মোরশেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩ জুলাই) ভোরে সিলেট মহানগরের শায়েস্তাগঞ্জ কদমতলী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি আবাসিক হোটেল থেকে পটিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন।
রীমা আক্তার উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের হীরা গাজী তালুকদার বাড়ির বাসিন্দা। তিনি পটিয়া সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আরিফুল ইসলাম জানান, রীমা আর মোরশেদের চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের কথা ঠিক হয় এবং সে অনুযায়ী কাবিননামা সম্পন্ন করা হয়।
তিনি জানান, বরযাত্রীর খাবার বাবদ দুই লাখ টাকা রীমার পরিবার থেকে নিয়েছিলেন মোরশেদের পরিবার। এছাড়াও বিয়ের আগের দিন হঠাৎ ফার্নিচার দাবি করলে রীমার পরিবার বিয়ের কয়েকদিন পর তা দিবে বলে জানায়। কিন্তু মোরশেদ রীমাকে ফোন করে বলে, অনুষ্ঠানের আগে ফার্নিচার তার বাড়িতে না পৌঁছলে সে বিয়ের পিড়িতে বসবে না। সে কারণে ফোনে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিংফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে রীমা আত্মহত্যা করে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ অভিযানে নামে। বুধবার ভোরে সিলেট থেকে স্বামী মোরশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রীমার কক্ষে পাওয়া একটি চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমি পারছি না এত যন্ত্রণা নিতে। বাকি জীবনটা সুন্দর করে উপভোগ করতে পারলাম না। আজকের দিনেও তোমার যন্ত্রণা আমি নিতে পারছি না। আমার পরিবার থেকে যে যৌতুকের টাকা তোমাদের দিয়েছে, সেগুলো শোধ করে দিয়ো।’
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুন রীমা আক্তারের মেহেদী অনুষ্ঠানের দিন যৌতুকের ফার্নিচার দেরিতে দেয়াকে কেন্দ্র করে বর মিজানুর রহমান মোরশেদের সঙ্গে ঝগড়া হয়। এর জেরে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করে রীমা আক্তার। এ ঘটনায় রাতে নিহতের বাবা মনির আহমদ বাদী হয়ে মিজানুর রহমান মোরশেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |