প্রচ্ছদ হেড লাইন গর্ভের সন্তান ছেলে, না মেয়ে?

গর্ভের সন্তান ছেলে, না মেয়ে?

হেড লাইন: অনাগত সন্তান ছেলে, না মেয়ে হবে—এটা নিয়ে মা-বাবা থেকে শুরু করে পরিবারের সবাই কৌতূহলে থাকে। গর্ভে সন্তান আসার পর থেকে শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা। বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে আগে থেকেই এটা জানা সম্ভব হলেও কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা দেখে বয়স্করা বলে থাকেন ।

গর্ভের সন্তান ছেলে, না মেয়ে হবে: প্রচলিত লক্ষণ

# বমির ধরন দেখে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ

বয়স্করা অনেক সময় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের বমির প্রবণতা দেখে সন্তান ছেলে, না মেয়ে হবে—তা নির্ধারণ করেন। বিশেষ করে যদি কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারীর সকালের দিকে বমির প্রবণতা বেশি হয়; তার অর্থ গর্ভে কন্যাসন্তান বেড়ে উঠছে। কন্যাসন্তান হলে শরীরে হরমোনের ক্ষরণ বেশি হয়।

আন্তর্জাতিক মেডিকেল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’-এর এক গবেষণায়ও এর সত্যতা পাওয়া গেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘গর্ভে কন্যাসন্তান থাকলে হবু মায়েরা বেশি বমি করেন।’ যা বয়স্কদের ধারণার সঙ্গে কিছুটা মিলে যায়।

# গর্ভকালীন ত্বকের রং পরিবর্তন

নারীরা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর তাদের ত্বকে পরিবর্তন দেখা যায়। বলা হয়ে থাকে, গর্ভে কন্যাসন্তান বেড়ে উঠতে থাকলে নাকি মায়ের চেহারার সৌন্দর্য কমতে শুরু করে। তাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যদি কারও চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যায়; তাহলে তার মেয়ে হবে ধরে নেন অনেকেই।

অন্যদিকে, গর্ভে ছেলেসন্তান বেড়ে উঠতে থাকলে হবু মায়ের চেহারা আরও উজ্জ্বল হয়। অনেকেই বলে থাকেন, ছেলে হলে মায়ের চুল লম্বা হয় আর মেয়ে হলে চুল পড়ে যায়।

তবে এ ধারণার বৈজ্ঞানিক কোনো সত্যতা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

# হবু মায়েদের খাওয়ার রুচি দেখে

বয়স্ক মা-চাচিরা বলে থাকেন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর অনাগত সন্তান ছেলে, না মেয়ে হবে—তা অনেকটাই বোঝা যায় হবু মায়েদের খাওয়ার রুচি দেখে। যদি নোনতা বা আচার খাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে, তবে ধরে নেওয়া হয় ছেলেসন্তান হবে। অন্যদিকে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেশি হলে বলা হয়ে থাকে মেয়েসন্তান হবে। এ বিষয়টিও গবেষণালব্ধ নয়।

# মেজাজ পরিবর্তন

মেজাজ যদি ঘনঘন পরিবর্তন হয়, তাহলে ধারণা করা হয় গর্ভে কন্যাসন্তান আছে। যদিও এ ধারণার পেছনেও কোনো বৈজ্ঞানিক সত্যতা নেই। গর্ভাবস্থায় সব নারীর শরীরেই হরমোনাল পরিবর্তন আসে। এর ফলে কারও কারও ক্ষেত্রে খুব দ্রুত মুড সুইং হতে পারে।

# হবু মায়ের পেটের আকার

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হবু মায়ের পেটের আকার দেখে অনেক সময় বয়স্করা ছেলে, না মেয়ে হবে—তা বলে থাকেন। বলা হয়ে থাকে, পেটের আকার যদি বড় হয়; তাহলে ছেলে আর ছোট হলে মেয়ে হবে।

তবে বিজ্ঞান বলছে, হবু মায়েদের গর্ভের আকার নির্ভর করে তার শারীরিক গঠন এবং ভ্রুণের আকারের ওপর। সন্তানের লিঙ্গের ওপর মায়ের পেটের অবস্থা নির্ভর করে না।

অনেকেই এসব লক্ষণ দেখে ভুল ধারণা পোষণ করে থাকেন, যা হবু মায়ের স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। তাই মানুষের কথা শুনে সন্তান ছেলে হবে, না মেয়ে—তা নিয়ে মাথা না ঘামানোই উচিত।

সূত্র : হেলথলাইন।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।