অপরাধ: জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার ও তার স্ত্রী হাফেজা বেগমের কথিত ‘জিনের বাদশা’ কার্যক্রমের প্রতারণায় নিঃস্ব হচ্ছেন বহু মানুষ। ইতিমধ্যে বহু মানুষের কাছ থেকে তারা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের ওই কার্যক্রম এখনও চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জিনের বাদশা হিসাবে পরিচিত হাফেজা বেগম দীর্ঘ পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে জামালপুর সদরের রশিদপুর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া চৌরাস্তা মোড় এলাকায় নিজ বাড়িতে একটি কক্ষে বসে দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। ঝাড়-ফুক, তাবিজ কবজের এবং অন্যান্য জিনিসপত্রের নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
স্থানীয়দের অভিযোগে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা অসহায় মানুষদের বোকা বানিয়ে চিকিৎসার নামে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে যাচ্ছেন তারা। সম্প্রতি তার স্বামী ইউপি সদস্য ও রশিদপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার এক নারীর করা ধর্ষণ মামলায় জেল খেটে জামিনে বের হয়েছেন। জেল থেকে বের হয়ে তিনি ও তার স্ত্রী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিছুদিন বন্ধ থাকলেও তারা পুনরায় আবার অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে কথিত জিনের বাদশা হাফেজা বেগম বলেন, আমাকে বিশ্বাস করে অনেক মানুষ তাদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে আমার কাছে আসেন এবং তারা উপকারও পায়। আমি কাউকে জোর করে ডেকে আনি না।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |