প্রচ্ছদ হেড লাইন জীবন নিয়ে শঙ্কায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী

জীবন নিয়ে শঙ্কায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন৷ তার দেহের নানা স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কিত বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
২৬ বছর বয়সি সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক এই তরুণ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক৷ এই গোষ্ঠীটি সরকারি চাকুরিতে অর্ধেকের বেশি কোটা রাখার যে রায় হাইকোর্ট দিয়েছিল, তার বিপরীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মূল সংগঠন হিসেবে কাজ করছে৷ কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন সংগঠন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার মুখে সেই আন্দোলন দ্রুতই সহিংস হয়ে ওঠে এবং ইতোমধ্যে দেড়শ’র বেশি প্রাণহানি হয়েছে৷

সোমবার হাসপাতালে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন ‘‘এত এত রক্তপাত, হত্যা এবং জানমালের ক্ষতি হোক” তা তিনি চাননি৷

নাহিদ বেশ শান্ত গলায় কথা বলেন৷ তার কথা বলার ধরন অন্যান্য ছাত্রনেতাদের চেয়ে আলাদা৷

শুক্রবার অবধি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন নাহিদ ইসলাম৷ কিন্তু শনিবার ভোররাতের দিকে একদল মানুষ নিজেদেরকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তিনি যে বাড়িতে ছিলেন সেই বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন৷ তিনি তখন ছাদে চলে যান, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি৷

‘‘চার, পাঁচজন লোক জোর করে ধরে আমাকে নিচে নিয়ে যায় এবং তাদের গাড়ির ভেতরে প্রবেশ করায়৷ আমার চোখ বাঁধা ছিল এবং হাতে হাতকড়া পরানো ছিল,” সেদিনের ঘটনা জানাতে গিয়ে বলেন নাহিদ৷

তিনি জানান যে তাকে গাড়িতে করে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের দূরত্বে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷

‘‘আমরা কেন এটি করছি, আমাদের উদ্দেশ্য কী, আমরা কেন আন্দোলন প্রত্যাহার করছি না, আমাদের আন্দোলনের পেছনে কে আছেন- এসব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল,” বলেন নাহিদ৷ 

‘‘তারা আমার উত্তরে সন্তুষ্ট হচ্ছিল না এবং এক পর্যায়ে আমাকে মারতে শুরু করে৷ তারা আমাকে লোহার রডের মতো কিছু দিয়ে আঘাত করে এবং এক পর্যায়ে আমি অচেতন হয়ে যাই,” যোগ করেন তিনি৷

রোববার সকালের দিকে জ্ঞান ফেরার পর তিনি নিজেকে ঢাকার উত্তরে একটি রাস্তার পাশে আবিষ্কার করেন বলে জানান নাহিদ৷ একটি রিকশা তাকে তার বাসায় নিয়ে যায় এবং তার পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন৷

এআই/এসিবি (এএফপি

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।