তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে রাজধানী তাইপেসহ দ্বীপটির বিভিন্ন এলাকায় শত শত ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
দ্বীপ ভূখণ্ডটির ১ কোটি ৯৫ লাখ ভোটারের অধিকাংশই ভোট দেবেন বলে আশা করছে তাইওয়ানের নির্বাচন কমিশন; আর সেখানকার অধিকাংশ রাজনীতি বিশ্লেষকদের ধারণা, এই নির্বাচনে জিতে টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি।
কয়েক দশক ধরে চলা সামরিক আইন ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের অধ্যায় শেষ করে ১৯৯৬ সালে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় প্রবেশ করে তাইওয়ান। ৩৬ হাজার ১৯৭ বর্গকিলোমিটার এই দ্বীপ ভূখণ্ডটির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বেশ জটিল। একসময় চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তাইওয়ানকে গত ৭ দশকেরও বেশি সময় ধরে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চীন। এই ইস্যুতে চীন বরাবর ‘ওয়ান চায়না’ নীতিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী।
দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্প্রতি বলেছেন, চীনের মূল ভূখণ্ডে তাইওয়ানের অন্তর্ভুক্তি কেউ ঠেকাতে পারবে না।
তাইওয়ানের এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কয়েক মাস ধরেই নির্বাচনকে ঘিরে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।
এদিকে নির্বাচন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। কারণ চীনের সঙ্গে দ্বীপটির ভবিষ্যত কী দাঁড়াবে তা এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |