মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থী তিশার বাবার দেওয়া অভিযোগ এবং মুশতাক-তিশা দম্পতির দেওয়া অভিযোগ, দুটোই খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ বিষয়টি জানান তিনি।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, তিশার বাবা সাইফুল ইসলামের অভিযোগের তীর খন্দকার মুশতাক আহমেদের দিকে। হুমকির বিষয়ে তিনি থানায় জিডি করেছেন। আজ (রোববার) বিকালে জিডি কপিসহ লিখিত অভিযোগটি আমাদের কাছে তিনি করেছেন। বাবা হিসেবে সাইফুল ইসলাম যে অভিযোগটি করেছেন সেটি আমরা খতিয়ে দেখব, আসলে ঘটনা কি? কে এসব করছে?
তিনি বলেন, এর আগে তিশা যাকে বিয়ে করেছেন মুশতাক, তিনিও আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছেন। দুটো অভিযোগ আমরা একসঙ্গে খতিয়ে দেখব। তারপর বলতে পারব, ঘটনা কি, কোথা থেকে এসবের উৎপত্তি। মোবাইলফোন বা হোয়াটসঅ্যাপে হুমকি আদৌ এসেছে কি-না বা হুমকি দিলে কে কেন দিচ্ছেন। একই ধরনের নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে লিখিতি কমপ্লেইন কিন্তু করেছেন মুশতাকও।
তিনি বলেন, দুটোই তদন্ত হবে। এজন্য ডিবির একটি টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে আমরা বলতে পারব, আসলে ঘটনা কি?
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে এসে লিখিত অভিযোগ দেন সিনথিয়া ইসলাম তিশার বাবা মো. সাইফুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগে তিশার বাবা উল্লেখ করেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ফোন করে আমাকে বলেন- ‘আপনি কি তিশার আব্বু বলছেন? আমি হ্যাঁ বললে, তিনি বলেন আপনি বেশি বাড়াবাড়ি কইরেন না, বেশি বাড়াবাড়ি করলে আপনার মেয়েকে মেরে ফেলব। ’
তিশার বাবা ডিবির কাছে আরও অভিযোগ করেন, আমার মোবাইলে দুইটি নম্বর থেকে রাত ১টা ১৯ ও ১টা ১৫ মিনিটের দিকে কল আসে। এত রাতে ঘুমিয়ে যাওয়ায় কল ধরতে পারিনি। সকালে উঠে ওই দুই নম্বরের মিসডকল দেখতে পাই।
এবিষয়ে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মুগদা থানায় উপস্থিত হয়ে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সাইফুল ইসলাম।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাইফুল ইসলাম দাবি করে বলেন, খন্দকার মুশতাক আহমেদই নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এরআগেও আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন মুশতাক।
তিনি বলেন, আমার মেয়ে সিনথিয়া ইসলাম তিশা তার খালাকে ফোন করে বলেছে, খন্দকার মুশতাক আহমেদ নানাজনের সঙ্গে ছবি তুলতে বাধ্য করছেন। সেসব দিয়ে ব্লাকমেইল করা হতে পারে সেজন্য তিনি এসব করছেন। পাশাপাশি মেয়ে তিশা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানিয়েছে।
তিনি বলেন, আমার ধারণা খন্দকার মুশতাক আহমেদ তার লোকজনকে দিয়ে নানাভাবে আমাকে চাপে রাখার জন্য হুমকিধামকি দিচ্ছে। বিষয়টির একটা আইনগত পদক্ষেপ জরুরি। সেজন্য গতকাল মুগদা থানায় জিডি করেছি, আজ ডিবিতে লিখিত অভিযোগ করলাম।
ডিবিপ্রধান হারুন সাহেব আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলেও যোগ করেন তিনি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |