প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক ধর্ষণের অভিযোগ নেই, ভারতে ৪ আ. লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের কারণ ভিন্ন

ধর্ষণের অভিযোগ নেই, ভারতে ৪ আ. লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের কারণ ভিন্ন

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার চারজনই সিলেট আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। গতকাল থেকে চাউর হয়, তাদের ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে কলকাতায় পলাতক আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, বৈধ অনুপ্রবেশ, ছিনতাই ও ডাকাতির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

তবে ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্য মেঘালয়ের পুলিশ বলছে, তাদের রাজ্যের একটি ফৌজদারি মামলায় পালিয়ে থাকা চারজন বাংলাদেশিকে কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা সবাই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সাথে জড়িত।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ইলিয়াছ আহমদ জুয়েল, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি ও সিলেট মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ডাউকি থানার একটি মামলায় অভিযুক্ত ওই চারজন কলকাতা লাগোয়া নিউটাউন এলাকার একটি আবাসনে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

রবিবার সেখান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে শিলংয়ে আনা হয়েছে বলে মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে।

মেঘালয় পুলিশের মহাপরিচালক ইদাশিশা নংরাং জানিয়েছেন, “ওই চারজনের বিরুদ্ধে ডাউকি থানার একটা মামলা ছিল। কোনো ধর্ষণের অভিযোগ নেই এদের বিরুদ্ধে। ডাউকি থানায় এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার চারটি ধারা এবং বিদেশি আইনের ১৪ নম্বর ধারায় অভিযোগ ছিল।

সেই মামলাতেই কলকাতা থেকে এদের গ্রেপ্তার করে আনা হয়েছে।”
যেসব ধারায় ধৃত চারজনের বিরুদ্ধে মামলা আছে সেগুলো মূলত অস্ত্র দিয়ে হামলা (আগ্নেয়াস্ত্র নয়), হামলার জন্য জমায়েত হওয়া, এক লক্ষ টাকার কম পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধনের মতো অভিযোগ। এ ছাড়া অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের মামলাও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।