পিএলের দশম আসরে হারের বৃত্তেই আটকে ছিল গতবারের রানার্সআপ সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরাফির নেতৃত্বে প্রথম পাঁচ ম্যাচের প্রতিটিই হেরেছে তারা। তবে মোহাম্মদ মিঠুনের অধিনায়কত্বে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচেই জয়ের দেখা পেল সিলেট, দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৫ রানের হারিয়ে।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৪৩ রানের লক্ষ্য দেয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান তুলতে পারে ঢাকা। এতে ১৫ রানের জয় পায় স্বাগতিকরা।
সিলেটের মাঠে ১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় দুর্দান্ত ঢাকা। ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারে রিচার্ড এনগাভারার বলে বোল্ড হন নাঈম শেখ। ৬ বলে ২ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। এরপর ৯ বলে ১৩ রান করে একই বোলারের দ্বিতীয় শিকার হন সাইম আইয়ুব। লেগ বিফোরে কাঁটা পড়েন এই পাকিস্তানি ব্যাটার।
এরপর সাইফ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অ্যালেক্স রোস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। ১৯ বলে ১৭ রান করে সাইফ রান আউট হলে, ১৮ বলে ২০ রান করে রাজার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন অজি ব্যাটার রোস। ৯ বলে চার রান করে ইরফান শুক্কুর।
সপ্তম উইকেটে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হাসান সৈকতকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন গুলবাদিন নাইব। তবে পিচে থিতু হতে পারেননি সৈকত। ১৪ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
নাইব ১৮ বলে ১২ রান করে আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে রাজধানীর দলটি। এরপর আরাফাত সানি (২) ও শরিফুল ইসলাম (৫) আউট হলেও ব্যাট চালাতে থাকেন তাসকিন আহমেদ। এই বাঁহাতি শেষ ওভারের চার বলে ১৫ রান তুললেও হার এড়াতে পারেনি ঢাকা।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানেই থেমে যায়। এতে ১৫ রানের জয় পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১১ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তাসকিন আহমেদ। ৬ বলে ৭ রান করে উসমান কাদিরও।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন রিচার্ড এনগারাভা। দুই উইকেট শিকার করেন রেজাউর রহমান রাজা। এছাড়া নাইম হাসান ও বেনি হাওয়েল নেন একটি করে উইকেট।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |