হেড লাইন: তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরব নতুন সোনার খনির সন্ধান পেয়েছে। বর্তমানে কাজ চলা সোনার খনি মানসুরা মাসারাহের খুব কাছেই সামান্য দক্ষিণে বেশ কয়েকটি স্থানে সোনার মজুত পেয়েছে দেশটি। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সৌদি আরবের খনি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মাইনিং কোম্পানি (মাদেন) এর বিবৃতির বরাত এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাদেন জানিয়েছে, গত বছর মাসারেহের কাছে ১০০ কিলোমিটার চওড়া এক পাহাড়ি উপত্যকায় সোনার সন্ধানে জরিপকাজ শুরু করা হয়। অবশেষে সেখানেই সোনার খনির সন্ধান মিলল।
এতে বলা হয়েছে, নমুনায় যাচাই করে দেখা যায় অঞ্চলটিতে উচ্চ ঘনত্বের সোনা পাওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান। দুটি নমুনায় দেখা গেছে, একটি ট্রন প্রতি খনিজে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ, অন্যটিতে ২০ দশমিক ৬ গ্রাম সোনার উপস্থিতি রয়েছে। ২০২৪ সালে অঞ্চলটিতে ব্যাপক খননকাজ চালাবে মাদেন। সৌদি ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (এসজিএস) ও সার্ভে অ্যান্ড মিনারেল এক্সপ্লোরেশন সেন্টার জানায়, সোনার খনির অবস্থান মদিনা অঞ্চলের উম্মাল-বারাক হেজাজের ঢাল আবাল-রাহার সীমানার মধ্যে। মাদেন সৌদি আরবের সরকারের মালিকানাধীন একটি খনন প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ৬৭ শতাংশ মালিকানাই সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সার্বভৌম তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বা পিআইএফের।
বিবৃতি অনুসারে, মানসুরা মাসারেহ থেকে ২০২৩ সালে প্রায় ৭০ লাখ আউন্স বা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ কেজির মতো স্বর্ণ উৎপাদন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী রবার্ট উইল্ট গত অক্টোবরে রয়টার্সকে বলেছিলেন, তার প্রতিষ্ঠান সোনা ও ফসফেট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করেছে। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের মদিনা অঞ্চলে সোনার খনি পাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ। সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, মদিনা অঞ্চলের অন্তত চারটি স্থানে সোনা ও তামার খনি আবিষ্কার হয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |