দেশজুড়ে: নৌকা প্রতীকে ভোট দিলে পিষে ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. এবিএম জাফর উল্যাহ। সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে কাদিরপুর ইউনিয়নে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে আয়োজিত উঠান বৈঠকে বক্তব্য দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ভোটারদের পিষে ফেলার ঘোষণার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ৪৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ডা. এবিএম জাফর উল্যাহ বলেন, ‘আজ গণসংযোগের শেষ দিন।
নির্বাচনের আগে এটাই সমাপনী দিন কাদিরপুর ইউনিয়নের জন্য। অতএব, কাদিরপুরের একটা লোকও যদি ডান বাম করেন তাদের খেদাই (তাড়িয়ে) দিবেন। যেগুলো ওরে (নৌকার প্রার্থী) ভোট দিবে মনে করবেন ওদেরও কাদিরপুর থাকার অধিকার নাই। তাড়িয়ে দিবেন এখান থেকে। দুই একটা কালসাপ আছে। এদের চিহ্নিত করে নির্বাচনের দিন (পিষে) দিবেন।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. এবিএম জাফর উল্যাহ বলেন, মূলত তাকে হেনস্তা করা এবং তাদের প্রার্থীকে নিয়ে ভোটারদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য পুরো ভিডিও না দিয়ে খণ্ডিত অংশ ছড়ানো হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হয়ে নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন বক্তব্য দিতে পারেন না। বরং বলা হয়েছে- ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে যদি কেউ বাধা বা কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তাদেরকে প্রতিহত করার বিষয়ে এমন বক্তব্য দেয়া হয়েছে। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থাকা বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিনুল হাসান বলেন, এমন কোনো অভিযোগ এখনও পর্যন্ত কেউ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক সত্যতা পেলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদ, চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সাল, অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ এফসিএ, কাদিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিনসহ তার নেতাকর্মীরা। ডা. জাফর উল্যাহ বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় চৌমুহনী চৌরাস্তা সংলগ্ন গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসে এই ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নোয়াখালী-৩ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুর রশিদ কিরণ। এ সময় এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ডা. এবিএম জাফর উল্যাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য জেলা আওয়ামী লীগকে সুপারিশ পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |