ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার কলাকতায় খুন হয়েছেন। এ মামলার তদন্ত চলছে জোরেশোরে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার ও আটকের পর বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
এ দিকে আনার হত্যার বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ তুলেছেন ডরিন।
এ সব বিষয়ে নিয়ে এবং বাবা হত্যার বিচার যাতে স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে ও দোষীদের বিচার নিশ্চিত হয় সে জন্য ডরিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
অন্যদিকে ডরিন এক ফেসবুক পোস্টে গত ১৩ জুন লিখেছেন, ‘পাপ বাপেরে ছাড়ে না। আব্বু তুমি চিন্তা করো না। তোমার মেয়ে ডরিন আছে, বিচার হবেই।’
এমপি আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় শুক্রবার তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে গিয়াস উদ্দিনের দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে আনার হত্যার পরিকল্পনায় সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে। বর্তমানে তিনি পুলিশের রিমান্ডে আছেন।
উল্লেখ্য, এমপি আনার হত্যা মামলায় গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে চারজনই দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতার অপর আসামি মিন্টু আট দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজিম।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |