সারাদেশ: ঢাকা কলেজে অনার্সে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই প্রতিষ্ঠানে উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. রনি। তিনি কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। সোমবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কলেজের বিভাগীয় প্রধানকে বিষয়টি অবহিত করেন। মারধরের কারণে তিনি মাথায়, মুখে ও বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। ঘটনার সূত্রপাত আইডিয়াল কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর আইডি কার্ড নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। জানা গেছে, কয়েকদিন আগে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে আইডিয়াল কলেজের রিফাত আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থীর আইডি কার্ড নিয়ে নেন।
আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী রিফাত আহমেদ ও ঢাকা কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী রনি একই বাসায় থাকেন। আজ পরিচয়পত্র দেওয়ার কথা বলে আইডিয়ালের ওই শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ডেকে নেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এ সময় রনি রিফাতকে সঙ্গ দেন। এক পর্যায়ে উচ্চমাধ্যমিক ১ম বর্ষের ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী তাদের দুজনকেই বেধড়ক মারধর করেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় ঢাকা কলেজের ২০-২৫ জন ছাত্রের একটি দল শহীদ মিনার এলাকায় উপস্থিত ছিলেন। তাদের প্রত্যেকের গায়ে ঢাকা কলেজের ইউনিফর্ম ছিল। আর মারধরের সঙ্গে জড়িত তিনজনের ইউনিফর্ম ছিল না। তাদের হাতে লাঠি, চেইন ও রড ছিল বলেও জানা গেছে। মারধরের শিকার ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. রনি বলেন, আমি এবং আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী রিফাত একই বাসায় থাকি। রিফাতের আইডি কার্ড ঢাকা কলেজের কয়েকজন নিয়ে যায়। আইডি কার্ড আনতে শহীদ মিনার এলাকায় রিফাত আমাকে নিয়ে যায়। এ সময় আমি তাদেরকে ক্যাম্পাসের সিনিয়র ভাই হিসেবে পরিচয় দেই। তারপরও তারা আমাকে ‘ভুয়া’ শিক্ষার্থী আখ্যা দিয়ে ২০-২৫ জন মিলে মারধর করে। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, পুলিশ না থাকলে হয়ত আমাকে মেরেই ফেলত। এই ঘটনার পর আমার ব্যাগ ওরা নিয়ে যায়। পরে আমি একজনকে কলেজের ভেতরে এসে চিনতে পেরেছি। ওর নাম আল-আমিন সামি। আমি তখন বিভাগে এসে বিষয়টি আমার চেয়ারম্যান স্যারকে জানিয়েছি। অবশ্য এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থী আল-আমিন সামি। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার নাম আব্দুল্লাহ। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নই। আপনি ভুল নম্বরে ফোন দিয়েছেন। আপনার কাছে কোনো প্রমাণ থাকলে নিয়ে আসেন। এ কথা বলেই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শাহ নেওয়াজ বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। ভুক্তভোগী ওই ছাত্র আমার কাছে এসেছিল। আমি তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অমি খোঁজ নিচ্ছি। ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |