সারাদেশ: মৌলভীবাজার প্রধান ডাকঘর থেকে চেক গায়েব করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সময় চিঠি বিলিকারী রায়হান আহমদকে আটক করছে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ। পুলিশ মামলা দায়ের করে চিঠি বিলিকারী রায়হান আহমদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংক, মৌলভীবাজার মডেল থানা ও ডাকঘর সূত্রে জানা যায়, আটক রায়হান আহমদ মৌলভীবাজার প্রধান ডাকঘরে আউটসোর্সিং এ চিঠি বিলিকারী হিসেবে কাজ করতেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নিলুফা ইয়াসমিন নিলু তার ভাই ওয়াদুদ আহমদ মুফতির কাছে সরকারি ডাকযোগে দুই লাখ টাকার একটি চেক পাঠান।
চিঠি বিলিকারী রায়হান আহমদ চিঠি গায়েব করে চেক তার আয়ত্ত্বে নেন। পরবর্তীতে চিঠি বিলিকারী রায়হান আহমদ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে একটি চিঠি দেন। এটাতে লেখা ছিল চেকে উল্লেখিত টাকা নিলুফা ইয়াসমিন নিলু এর আত্মীয় রায়হান আহমদ এর কাছে দেওয়ার জন্য। এই চিঠি পেয়েই কর্মকর্তারা সন্দেহ করেন। এই দিন নিলুফা ইয়াসমিন নিলু নামীয় মেইল থেকে চেকে উল্লেখিত টাকা রায়হানকে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। সেখানেও লেখা ছিল পারিবারিকভাবে আমি নানা সমস্যায় আছি। আমি ফোন দিতে পারব না, চেকের টাকা আমার আত্মীয় রায়হান আহমদের কাছে দিয়ে দেবেন। এক পর্যায়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি চিঠি বিলিকারী রায়হান আহমদ ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক কর্মকর্তার কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি।
ব্যাংক কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন নিলুর হিসাব বিবরণীতে দেওয়া নম্বরে ফোন দিলে নিলুফা ইয়াসমিন নিলু বলেন, রায়হান আহমদ নামে কারও কাছে আমি চেক দেইনি। চেকটি আমার ভাইয়ের কাছে পাঠিয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠান। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নিলুফা ইয়াসমিন নিলুর ভাই ওয়াদুদ আহমদ মুফতি বলেন, আমার বোন দুই লাখ টাকার চেক সরকারি ডাকযোগে আমার কাছে পাঠান। কিন্তু আমি পাইনি। মৌলভীবাজার প্রধান ডাকঘরের চিঠি বিলিকারী রায়হান আহমদ চেক গায়ের করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে। এ বিষয়ে মৌলভীবাজার প্রধান ডাকঘরের সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল কাম পোস্ট মাস্টার মো. আব্দুল কাদের বলেন, রায়হান আহমদ রাজস্বভুক্ত কর্মচারী নয়। তার এ অপরাধের জন্য আমরা দায় নিতে পারব না। মনে হয় তার পেছনে বড় একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূলহোতা বের হয়ে আসবে। ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক মৌলভীবাজার শাখা ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম বলেন, মৌলভীবাজার প্রধান ডাকঘরের চিঠি বিলিকারী রায়হান আহমদ দুই লাখ টাকার চেকটি নিয়ে এলে তার কথাবার্তায় আমাদের সন্দেহ হয়। যাছাই বাছাই করে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নিলুফা ইয়াসমিন নিলু চেকটি রায়হান আহমদকে দেননি। মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এ কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, মৌলভীবাজার প্রধান ডাকঘরের চিঠি বিলিকারী রায়হান আহমদকে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |