দেশজুড়ে : নেত্রকোণার পূর্বধলায় সড়কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা লাশের পরিচয় ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ। নিহতের নাম মনোয়ারা আক্তার (৩০)। তিনি ময়মনসিংহ শহরের আকুয়া চৌরাঙ্গীর মোড় এলাকার মনসুর মিয়ার স্ত্রী। ওই নারীর লাশের পাশে উদ্ধার হওয়া দুই বছর বয়সী শিশুটির নাম আলিফ। সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওই হত্যাকাণ্ডে ১৩ দিন পর ৯ জুন তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে হত্যার সঙ্গে জড়িত অলিউল্লাহ (১৯) নামে যুবককে গৌরীপুর উপজেলার ডেঙ্গার মোড় নামক স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার অলিউল্লাহ ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সনউড়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত মনোয়ারার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো আব্দুর রাজ্জাক ওরফে কালা মিয়ার। ঘটনার আগের দিন (২৮ মে) দুপুরে কৌশলে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে শিশু আলিফকে নিয়ে কালার সঙ্গে বেরিয়ে যায়। পরে কালা সেই মনোয়ারাকে হত্যার জন্য তার পূর্ব পরিচিত অলিউল্লাহকে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া করেন। তারা সারাদিন সিএনজি যুগে ঘোরাঘুরির পর চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে মনোয়ারা ও শিশু আলিকে অজ্ঞান করে। গত ২৯ মে শেষ রাতে পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের কাছিয়াকান্দা গ্রামে তারা দুজন মিলে মনোয়ারার মাথায় কুপিয়ে হত্যা করে।
খুনের অনুশোচনায় ৯ জুন বিষ পান করে কালা মিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে বিশেষ একটি সূত্রে জানা গেছে।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, নিহত মনোয়ারা আক্তারের পরিচয় কোনোভাবেই শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। পরিচয় শনাক্তের জন্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ, লিফলেট বিতরণ, সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। ফলে প্রতিবেশী একজন ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করেন। শনাক্ত হওয়ার পর তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত অলিউল্লাহ নামে যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |