হেড লাইন: প্রেমিক এড়িয়ে চলায় অভিমান করে নিজের শরীরে আগুন দিয়েছিলেন কলেজছাত্রী মাশকুরা আক্তার মুমু (১৯)। দগ্ধ মুমু বর্তমানে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে তার বাবা আবদুল মালেক মোবাইল ফোনে ঢাকা পোস্টকে এসব কথা বলেন। এর আগে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। মাশকুরা আক্তার মুমু ফেনী ন্যাশনাল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি পরিবারের সঙ্গে শহরের পাঠান বাড়ি সড়কে থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার সদর উপজেলার রামনগর এলাকায়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আবদুল মালেক বলেন, গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে মুমুর বিয়ের জন্য একটি প্রস্তাব আসে। এতে সে অসম্মতি জানিয়ে নাহিদ নামে এক সহপাঠীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানান। তখন থেকে আমি আর তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়নি। পরে গত বছরের নভেম্বর মাসে নাহিদের ভাই লক্ষ্মীয়ারা বাজারে আমার সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলে। তার ভাই বলে নাহিদকে প্রবাসে পাঠিয়ে দেবে এবং প্রবাস থেকে ফেরা পর্যন্ত আমার মেয়ে যেন তার জন্য অপেক্ষা করে। এরপর এ বিষয়ে বিগত একবছরে আর কোন কথা বলিনি। তিনি আরও বলেন, পরে নাহিদ তাকে প্রত্যাখ্যান করে। যেখান থেকে অভিমানে মুমু এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছি। মুমুর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। এ মুহূর্তে তার সুস্থতা ছাড়া আর কিছু ভাবছি না।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |