দুই দেশের আলোচিত তারকা সৃজিত মুখার্জি ও মিথিলার প্রেম ছিল আলোচনার তুঙ্গে। যদিও প্রেমের ব্যাপারে কেউই মুখ খোলেননি তারা। কলকাতায় নিজেদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেছিলেন গোপনে। যদিও গোপন রাখতে চাইলেও বিষয়টি শেষ পর্যন্ত গোপন রাখা সম্ভব হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা হাজির হন বাড়ির সামনে। এক পর্যায়ে সৃজিত সামনে এসে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে সময় যত গড়াচ্ছে দুজনের বিচ্ছেদের গুঞ্জন প্রবল হচ্ছে। সৃজিত ও মিথিলা নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। তাদের আগের মতো ঘনিষ্ঠভাবে আর দেখা যায় না।
চলতি মাসের ২৩ সেপ্টেম্বর ছিল সৃজিতের জন্মদিন। ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের সূত্রমতে, ওই দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নানাজনের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন সৃজিত। তবে সৃজিতের উদ্দেশে মিথিলার কোনো শুভেচ্ছাবার্তা পাওয়া যায়নি। আর তাতেই ছড়িয়েছে বিচ্ছেদের গুঞ্জন।
বিয়ের পর মেয়ে আইরাকে নিয়ে কলকাতাতেই থাকছিলেন মিথিলা। বছরখানেক পর মেয়েকে নিয়ে দেশে ফেরেন মিথিলা। ভর্তি করিয়েছেন বাংলাদেশের এক স্কুলে। কাজের সূত্রে কখনো আফ্রিকার তানজানিয়া তো কখনো ইউরোপে থাকেন মিথিলা। সময়-সুযোগ পেলে স্বল্প দিনের জন্য ফেরেন কলকাতায়। দুজনের এই দূরত্বের কারণেই সৃজিত-মিথিলার দাম্পত্য নিয়ে ফিসফিসানির শেষ নেই।
যদিও বিয়ের পর থেকেই সৃজিত-মিথিলার ডিভোর্সের গুঞ্জন চলমান। তবে এর আগে বিচ্ছেদের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছিলেন মিথিলা।
মিথিলা-সৃজিতের পরিচয় হয় সংগীতশিল্পী অর্ণবের একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজের মাধ্যমে। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। সৃজিতের সঙ্গে বিয়ের আগে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসানের সঙ্গে মিথিলার বিয়ে হয় ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট। তাদের বিচ্ছেদ হয় ২০১৭ সালের জুলাইয়ে। দীর্ঘদিনের প্রেমের গুঞ্জন সত্য করে ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর বিয়ে করেছিলেন সৃজিত-মিথিলা।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |