পরিবেশ অধিদপ্তরের (ঢাকা অঞ্চল) পরিচালক সৈয়দ নজমুল আহসান (৫৬) ও তার স্ত্রী নাহিদ বিনতে আলমের (৪৮) রহস্যজনকত মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ।
লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল (মদ) পান করায় পরিবেশ অধিদপ্তরের (ঢাকা অঞ্চল) পরিচালক সৈয়দ নজমুল আহসান ও তার স্ত্রী নাহিদ বিনতে আলমের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবার সূত্রও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুলিশের প্রস্তুত করা সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। সুরতহালে ভাই সৈয়দ আবুল হাসনাতকে মরদেহ শনাক্তকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুরতহালকালে মৃতের শরীরে ছিল চেক লুঙ্গি ও গায়ে ছিল হালকা বেগুনি রঙের হাফ পলো শার্ট। সুরতহাল অনুযায়ী, মৃত সৈয়দ নজমুল আহসানের উভয় চোখ অর্ধখোলা দেখেছে পুলিশ।
পেশায় গৃহিণী নাহিদ বিনতে আলম স্বামীর সঙ্গেই থাকতেন মিরপুর-২ সরকারি অফিসার্স কোয়াটারে। তবে এ দুজনের মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মুখ খুলতে নারাজ। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপমৃত্যুর মামলার ও পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, সৈয়দ নজমুল আহসান ১৯৯৬ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি মাগুরা সদরের পুকুরিয়ায়। তিনি রাজধানীর মিরপুর-২ সরকারি অফিসার্স কমপ্লেক্সের দুই নং ভবনের বি-৮ ফ্ল্যাটে সপরিবারে থাকতেন।
উল্লেখ, বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মারা যান সৈয়দ নজমুল আহসান এবং বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তার স্ত্রী নাহিদ বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা যান।
মৃত্যুর পর নাহিদ বিনতে আলমের প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বিএসএমএমইউয়ের আইসিইউও-১ এ চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাকে সেখানে ভর্তি করা হয় ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ৭টা ২০ মিনিটে। আর তিনি বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে মারা যান। তার মৃত্যুর প্রত্যয়নপত্রে কারণ হিসেবে অতিরিক্ত মাদক সেবনের কথা উল্লেখ করা হয়।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |