দেশজুড়ে : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মাদরাসা ছাত্র সাব্বির আহম্মেদ (১১) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই শিশুর আপন চাচা ইমরান আকন্দকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইবনে মিজান এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার ইমরান আকন্দ সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের আলেক আকন্দ গটুর ছেলে। হত্যার শিকার সাব্বির একই গ্রামের আনিছুর রহমান খুরুর ছেলে ও রাঘবপুর এতিম খানা ও হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্র। ইমরান আকন্দ সাব্বিরের আপন ছোট চাচা।
পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানায় সাব্বিরকে সে দীর্ঘ তিন বছর ধরে শারীরিকভাবে নির্যাতন (বলাৎকার) করে আসছিল। সাব্বির ঘটনাটি অভিভাবকদের জানায়। পরে পরিবারের লোকজন ইমরানের সঙ্গে রাগারাগি করলে গত ১৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে কৌশলে সাব্বিরকে ডেকে নিয়ে বসতবাড়ির পশ্চিম পাশে কলা ক্ষেতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর আলাই নদীর পাড়ে জঙ্গলে লুকিয়ে রাখেন। তার গায়ের গেঞ্জি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা।
এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে শনাক্ত করা হয়। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল আসামি ইমরান আকন্দকে সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম রাঘবপুর গ্রামে তার শ্বশুর আব্দুর রউফের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান আকন্দ পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। পরে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার সি-সার্কেল উদয় কুমার সাহা, গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |