প্রচ্ছদ জাতীয় মাধ্যমিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

মাধ্যমিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

জাতীয়: বন্ধের নির্দেশনার পরও কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছে কী না তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে বের হওয়ার পথে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

স্কুল বন্ধ নিয়ে এ সময় শিক্ষা ও প্রাথমিক এ দুই মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা মানতে নারাজ শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, বন্ধের নির্দেশনার পরও কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার হয়েছে কী না তা খতিয়ে দেখা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি বিরাজমান তাপমাত্রার পরও খোলা রাখে, তাহলে সেটা দেখা হবে। তবে এ নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আসলে দুই মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা নয়। আসলে প্রাথমিকের ক্লাস যে সময়ের মধ্যে শেষ হয়, সেই সময়ের মধ্যে ঝুঁকি না থাকায় সেটা খোলা রেখেছে তারা।

প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্কুল খোলা না কী বন্ধ? এ নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা দেশব্যাপী। তীব্র তাপপ্রবাহে মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশনা অমান্য করে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলছে অনেক প্রতিষ্ঠানেই।‌ আর খোলা থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিতিও ছিল কম। দুই মন্ত্রণালয়ের দুই ধরনের সিদ্ধান্তকে সমন্বয়হীনতা বলছেন অভিভাবকরা। তবে মানতে নারাজ শিক্ষামন্ত্রী নিজেও।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকাসহ ৫ জেলায় বন্ধ রাখা হয়েছে সারাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও মাদ্রাসা। কিন্তু খোদ রাজধানীর উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতেই চলেছে ক্লাস। অংশগ্রহণ করেছে শিক্ষার্থীরা। শুধু ৬ষ্ঠ নয়, দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই চলেছে ক্লাস।

ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

অভিভাবকরা জানান, ক্লাস বন্ধের নির্দেশনা তাদের কাছে পৌঁছায়নি, তাই তারা সন্তানকে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই স্কুলে নিয়ে এসেছেন।

তারা আরও জানান স্কুল খোলা বা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তটি দুই মন্ত্রণালয়ের লেজেগোবরে সিদ্ধান্ত, এটা ঠিক না। কেন্দ্রীয়ভাবে দারুণ সমন্বয়হীনতা আছে।

আরেক অভিভাবক বলেন, আমরা তো তেমন কোনো নোটিশ পায়নি, তাই সন্তানকে নিয়ে স্কুলে এসেছি।

তবে খোলা রাখা হয়েছে এমন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানদের অজুহাত, শিক্ষার্থীরা চলে আসায় তারা ক্লাস নিয়েছেন।

স্কুল খোলা রেখেছেন উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জহুরা বেগম। উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জহুরা বেগম বলেন,

কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী স্কুলে চলে আসায় ক্লাশ নেয়া হয়েছে। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত কিছু শিক্ষার্থী এসেছে। তখন বলেছি, স্কুল বন্ধ ছিল, যদিও প্রাথমিকের ক্লাশ চলছে, তাহলে স্বেচ্ছায় যদি আপনাদের (অভিভাবক) সন্তানকে রেখে যেতে চান, আমার কোনো আপত্তি নেই। কারণ আমার সব শ্রেণির শিক্ষক স্কুলে আছেন।

এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখলেও ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিলো বলে জানান শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. আমিন উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রীনা পারভীন।

তিনি আরও বলেন,

স্কুলে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছে, ৫০ ভাগও না।

দুই মন্ত্রণালয়ের দুই ধরনের সিদ্ধান্তকে সমন্বয়হীনতা বলে মনে করছেন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু।

তিনি বলেন, দুই মন্ত্রণালয়ের দুই ধরনের সিদ্ধান্তে সমন্বয়হীনতা আছে। যারা সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন, তারা আসলে পরিপক্ক সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন না। যার কারণে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক দোলুল্যমান অবস্থায় আছে।

এদিকে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস হবে তা নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে চলমান তাপপ্রবাহে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার দাবি শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।