প্রচ্ছদ বিনোদন মাহির বিচ্ছেদ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

মাহির বিচ্ছেদ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

বিনোদন: ক্যারিয়ারে শীর্ষ নায়িকার তকমা পেলেও ব্যক্তিজীবনে ধরাশায়ী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। দ্বিতীয় বিয়েও টিকছে না তার। গত শুক্রবার রাতে প্রায় ৯ মিনিটের এক ফেসবুক ভিডিওবার্তায় স্বামী কামরুজ্জামান সরকার রকিবের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন মাহি। তিনি বলেন, আমরা দুজন মিলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে রকিব খুব ভালো মানুষ। তাকে আমি সম্মান করি। অনেক কেয়ারিং সে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে মাহি বলেন, খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি। মাহি আরও বলেন, আজকে এরকম একটি ভিডিও করতে হবে, সেটি ভাবিনি। তবে মনে হয়েছে সবাইকে বলার সময় হয়েছে। নিজেদের ভালোর জন্যই সবার জানা উচিত।

এদিকে একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র কালবেলাকে জানায়, নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে মাহির। এর পর থেকেই আলাদা থাকছেন তারা। ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ভালোবেসে রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী রকিব ও মাহির বিয়ে হয়। এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে পুত্রসন্তান ফারিশ। এটি রকিবেরও দ্বিতীয় বিয়ে। গাজীপুরের ছেলে রকিবকে বিয়ের পরই মাহির মাথায় রাজনীতির ভূত চেপে বসে। সূত্র বলছে, স্বামীই নাকি মাহিকে রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। রকিবের উৎসাহে রাজনীতির মাঠে সরব হন মাহি, জুটে যায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদও। এরপর সংসদ সদস্য হওয়ার মিশনে নামেন ঢালিউডের এই নায়িকা। গত বছরের শুরুর দিকে নিজ এলাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন তোলেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। তখন থেকেই এলাকায় নানা সামাজিক কার্যক্রমে যুক্ত হতে দেখা যায় তাকে। এ সময় মাহির পাশে ছায়ার মতো থেকেছেন রকিব। স্বামীর টাকায় এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ান মাহি। লক্ষ্য ছিল সংসদে যাওয়া। বিষয়টি নিয়ে রকিবের আগ্রহের কমতি ছিল না। এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের ফরম তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু মনোনয়ন না পেয়ে রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য জোটে মাত্র ৯ হাজার ৯ ভোট। বিপুল ভোটে পরাজয়ের পরও রাজনীতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন মাহি।

একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র কালবেলাকে জানান, জাতীয় নির্বাচনের আগে থেকেই মাহিকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার লক্ষ্যে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেন রকিব। স্ত্রী রাজনৈতিক সাফল্য না পাওয়ায় দুজনের মানসিক দূরত্ব বাড়তে থাকে! এ ছাড়া একের পর এক সিনেমা ছেড়ে দেওয়ায় মাহির নিজস্ব আয় শূন্যের কোঠায় গিয়ে দাঁড়ায়। স্বামীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন তিনি। এতে করে নায়িকার মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। সব কিছু মিলিয়ে নিজেদের মধ্যে সমস্যা বাড়ছিল! ২০১২ সালে ‘ভালোবাসা রঙ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় মাহিয়া মাহির। সিনেমাটি মুক্তির পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একে একে পোড়ামন, অনেক সাধের ময়না, ঢাকা অ্যাটাক, জান্নাত, অগ্নি, দেশা দ্য লিডার, যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত রোমিও বনাম জুলিয়েটসহ অসংখ্য সিনেমায় দেখা গেছে মাহিকে। ক্যারিয়ার শুরুর পর খুব অল্প সময়েই সফল নায়িকার তকমা জোটে তার নামের পাশে। যদিও একটা সময় চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার আবিষ্কার মাহির সংস্থাটির সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একপর্যায়ে জাজ ছেড়ে দেন তিনি। তার ঠিক পরপরই ২০১৬ সালের ২৫ মে সিলেটের ছেলে ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেন মাহি। পাঁচ বছরের মাথায় সেই সংসার ভেঙে যায়। যদিও ওই বিচ্ছেদের আগে থেকেই আলাদা থাকছিলেন তারা। বিচ্ছেদের আগে এক নায়কের সঙ্গে মাহির প্রেমের গুঞ্জন ওঠে। যদিও বিষয়টি নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরও সিনেমা চালিয়ে গেছেন মাহি। তখনো সিনেমাপ্রতি পারিশ্রমিক নিতেন ১০ লাখ টাকা। এদিকে রকিবকে বিয়ের পর সিনেমাজগৎ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে থাকেন মাহি। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সিনেমা ছেড়ে দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন। অথচ রাজনীতিতে এসে মাহির সংসার ও ক্যারিয়ার দুটিই এখন জলাঞ্জলির পথে!

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।