২০০৭ সালে ‘ওয়ান ইলেভেন’-পরবর্তী ঘটনা প্রসঙ্গে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যদি রাষ্ট্রপরিচালনা করতে চাইতাম, তা হলে যখন মিলিটারি আমার বাসায় এসে বসে রইল সারারাত আমাকে রাজি করানোর জন্য, আমি তো লুফে নিতাম! রাজি করানোর জন্য বসে থাকতে হবে কেন?
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাতে ইউটিউবে ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশো-তে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন নোবেলজয়ী ড. ইউনূস।
ড. ইউনূস বলেন, আমি যদি ক্ষমতা-ই চাইতাম, তা হলে বলতাম— চলেন কী করতে হবে, কোন জামাটা পরতে হবে দেখিয়ে দেন, এখনই যাচ্ছি৷ আমি তো সেটি করিনি। তাদের সঙ্গে তর্ক করেছি। সারারাত ধরে তর্ক করেছি যে— না ভাই, আমাকে দিয়েন না। আমি এ কাজের জন্য উপযুক্ত না। আপনারা অন্য লক্ষ্যে যান।
ড. ইউনূস বলছিলেন, কিন্তু তারা আমার ওপর মন ঠিক করে ফেলেছে, আমাকেই নিতে হবে। আমিও বারবার বললাম তাদের। শেষে তারা নিরাশ হয়েই ফিরে গেল এই বলে যে, সকালবেলায় আবার আসব। সকালবেলায় এলে তখন আপনি আমাদের বইলেন— আপনি রাজি আছেন। আমি বললাম— না, সকালবেলায় এলেও একই কথা পাবেন।
কারণ এটা তো এমন কিছু না যে মনের মধ্যে সন্দেহ রেখে, দ্বন্দ্ব রেখে আপনাদের বলছি। অত্যন্ত পরিষ্কারভাবেই আপনাদের বলছি। না হলে তো আমি সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে যেতাম।
ড. ইউনূস প্রশ্ন করেন, কে ছাড়ে? দেশের, সরকারের প্রধান হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে…। বাংলাদেশে এমন কয়জন মানুষ আছে যে বলবে— না, আমি এই দায়িত্ব গ্রহণ করব না? আমি তো করলাম সেটা। এখন আমার নামে বলা হচ্ছে— আমি নাকি ১০ বছর চেয়েছি! বছর নিয়ে তো প্রশ্নই ওঠে না! (তারা) প্রশ্ন করে যে, আগামীকাল সকালবেলায় আপনি শপথগ্রহণ করবেন? আমি বললাম, না করব না। এর পর তো ১০ বছর… এই কাণ্ড…৷ আমি ১০ বছর দিয়ে করবটা কি? আমি তো বলেছি— আমি এই কাজের জন্য নই। দেশ পরিচালনা করা আমার দায়িত্ব না, আমার কাজ না। আমি জানি না, এটা কীভাবে করতে হয়। আমি যেটা জানি, সেটা করি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |