অপরাধ: কথিত ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের গ্রেফতার মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের কর্মকাণ্ডের দায় তার স্ত্রী এড়াতে পারেন না।
রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন ডিবি প্রধান।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, দিনের পর দিন রাতের পর রাত যেভাবে কোটি কোটি সংগ্রহ করেছেন মিল্টন, অন্যদিকে সেবা দেননি তিনি। মিল্টনের স্ত্রী একজন নার্স। তিনি নিয়মিত মিল্টনের কেয়ার সেন্টারে যেতেন। সেখানে অনিয়ম জেনেও তিনি প্রশাসনকে জানাননি। সেক্ষত্রে আমি মনে করি, এসমস্ত দায় তিনিও এড়াতে পারেন না।
তবে মিল্টন সমাদ্দারের এ সংশ্লিষ্ট লেনদেন ও ব্যাংক একাউন্টে স্ত্রীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলেও জানান ডিবি প্রধান। এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদার বলেন, আমি আইনের ওপর শ্রদ্ধাশীল। আইন যেটা চাইবে, সেটাই হবে।
এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তার স্ত্রীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।
মিল্টন সমাদ্দারকে ফের ৭ দিন রিমান্ডের আবেদন
তিনি বলেন, নিজের বাবাকে পিটিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে মিল্টন সমাদ্দার ‘সাইকো’তে (মানসিক রোগী পরিণত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তার উত্থান কীভাবে হলো, তথাকথিত ‘মানবতার ফেরওয়ালা’ কীভাবে হলেন, তার অর্থের উৎস, কীভাবে আসে, কীভাবে তিনি দরিদ্র মানুষকে সংগ্রহ করতেন এবং কেনই-বা তাদের টর্চার সেলে এনে পেটাতেন, সবকিছু বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ডিবিপ্রধান আরো বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মিল্টন কীভাবে অর্থ উপার্জন করতেন এবং কারা তাকে সহয়তা করতেন, তাদেরকেও শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মিল্টন সমাদ্দারের তিন-চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। সেসব অ্যাকাউন্টে কারা টাকা পাঠাতেন, তদন্ত করে জানানো হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ।
১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা-মিরপুর বিভাগ। পরে রাতে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। সেসব মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে মিল্টনকে তিনদিনের রিমান্ড দেন আদালত।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |