প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত

যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত

আফগানিস্তানের বাদাখশান প্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে বিমানটি দুর্ঘটনায় কবলিত হয়

আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ জানিয়েছে, বিমানটি নির্ধারিত রুট থেকে বিচ্যুত হয় এবং পরবর্তীতে বাদাখশানে বিধ্বস্ত হয়। সংবাদমাধ্যমটি প্রথমে জানিয়েছিল, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ভারতের এবং এটি রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে যাচ্ছিল।

তবে পরবর্তীতে আফগানিস্তান-তালেবান সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা রোববার সকালে বিমান বিধ্বস্তের তথ্য পেয়েছেন। কিন্তু এটি কোন দেশের বিমান সেটি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। সেখানে একটি উদ্ধারকারী দলকে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ভারতের বিমান বিধ্বস্তের তথ্য ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটির বেসরকারি বিমান চলাচল সংস্থার মহাপরিচালক (ডিজিসিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় কবলিত হওয়া বিমানটি কোনো ভারতীয় এয়ারলাইন্সের নয়। আফগানিস্তানে যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি মরক্কোর নিবন্ধিত একটি ছোট যাত্রীবাহী বিমান।

বিমান বিধ্বস্তের খবর নিয়ে আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো ভিন্ন ভিন্ন খবর দিয়েছে। কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, এটি একটি চাটার্ড ফ্লাইট ছিল। কিছু সংবাদমাধ্যম বলছে, বিমানটি সাধারণ যাত্রী বহন করছিল। তবে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

বাদাখশান প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান জাবিহুল্লাহ আমিরি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বিমান দুর্ঘটনা সম্পর্কে বলেছেন, ‘একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু এটি কোথায় বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। আমরা একটি দলকে পাঠিয়েছে। তারা এখনো সেখানে পৌঁছায়নি। স্থানীয় মানুষ সকালে আমাদের বিমান বিধ্বস্তের ব্যাপারে জানায়।’

বাদাখশান প্রদেশটির সঙ্গে চীন, তাজিকিস্তান এবং পাকিস্তানের সীমান্ত রয়েছে। এই অঞ্চলেই অবস্থান বিস্তৃত হিন্দুকুশ পর্বতমালার।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।