প্রচ্ছদ দেশজুড়ে যুবকের লাশ ৯ টুকরার লোমহর্ষক ব্যাখ্যা দিল পুলিশ, যা বললেন স্ত্রী

যুবকের লাশ ৯ টুকরার লোমহর্ষক ব্যাখ্যা দিল পুলিশ, যা বললেন স্ত্রী

দেশজুড়ে: কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পদ্মা নদীর চর থেকে এক যুবকের লাশের নয়টি টুকরা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত পদ্মার চরে অভিযান চালিয়ে লাশের টুকরাগুলো উদ্ধার করা হয়।

মিলন হোসেন (২৭) কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বাহিরমাদি গ্রামের মাওলা বক্স সরদারের ছেলে। তিনি স্ত্রী মিমি খাতুনকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ই ব্লকে ভাড়া বাসায় থাকতেন। টেক্সটাইল প্রকৌশলে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ জানান, ৩১ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে সজল নামে ব্যবসায়িক পার্টনারের ফোনে বাসা থেকে বের হন মিলন। ওই রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় জিডি করেন মিলনের স্ত্রী মিমো খাতুন। ওই জিডির প্রেক্ষিতে পরদিনই সজলকে আটক করা হয়।

পরে প্রধান অভিযুক্ত এসকে সজীবসহ মোট পাঁচ সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। শুক্রবার তাদের তথ্যের ভিত্তিতে সদর উপজেলার হাটশহরিপুর ইউনিয়নের পদ্মার চর থেকে সাতটি ব্যাগে পুঁতে রাখা ৯-১০ টুকরো করে রাখা মিলনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে মিমো খাতুন বলেন, ৩১ জানুয়ারি দুপুরে মিলনের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়। সজল ফোন করে ডেকে নিয়েছিল মিলনকে। ওই দিনই রাতে আমি থানায় জিডি করি। তার ফোনও চালু ছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত মিলন ও সজল অনলাইনে ব্যবসা করতেন। তাদের ব্যবসার টাকার ভাগ নিতে মিলনকে তার অফিসে ডেকে আনেন প্রধান অভিযুক্ত সজীব। সেখানেই মারধরে তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ গোপন করতে গড়াই নদীর ওপর অবস্থিত শেখ রাসেল সেতু পার করে শহর থেকে নেওয়া হয় পদ্মার চরে। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুঁতে রাখা হয় মিলনের মরদেহ।

প্রধান অভিযুক্ত এসকে সজিব ২০২১ সালে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন ইয়াসির আরাফাত তুষার এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সাদ আহমেদ। ২০২২ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের কমিটিতে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন সজিব।

তার নামে সাতটি মাদকসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। কুষ্টিয়ার আলোচিত কিশোর গ্যাংয়েরও নেতৃত্ব দেন সজীব। তারই তত্ত্বাবধানে কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন স্পটে শতাধিক কিশোরগ্যাং রয়েছে। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, চুরি ছিনতাই তাদের অন্যতম কাজ। টেন্ডারবাজীতেও তাদের অবস্থান স্পষ্ট। ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় এসব অপকর্ম করেন তিনি। এর আগে র‌্যাবের হাতে ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তারও হন। এসব কারণে ২০২২ সালে বহিষ্কার হন জেলা ছাত্রলীগের পদ থেকে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।