ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। এটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজে থাকা নাবিকদের অস্ত্রের মুখে বন্দি করে রাখা হয়েছে একটি কেভিনে।
এ ঘটনার পর তিনদিন পার হলেও এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা নাবিকদের উপর কোন ধরনের শারীরিক নির্যাতন করেনি। তবে অস্ত্রের মুখে তাদের কথা মেনে চলতে বাধ্য করছে দস্যুরা। সময়ের সাথে এই দস্যুতার ব্যাপারে মিলছে বিস্তারিত তথ্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী বলছে, ছিনতাই হওয়া একটি জাহাজ ব্যবহার করেই বাংলাদেশি জাহাজে হামলা ও পরে তা জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী জানিয়েছে, সোমালি জলদস্যুরা গত বছরের ডিসেম্বরে মাল্টিজ-পতাকাবাহী বাল্ক কার্গো জাহাজ রুয়েন ছিনতাই করেছিল। আর সেই জাহাজটিই তারা দুই দিন আগে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশের পতাকাবাহী একটি কার্গো জাহাজ দখলে নিতে ব্যবহার করতে পারে।
সংস্থাটি বলছে, আগে ছিনতাই হওয়া জাহাজ ব্যবহার করে বাংলাদেশি জাহাজে হামলার এই তথ্য যদি সঠিক হয়, তাহলে এটা নিশ্চিত যে তারা আগের মতোই খুব সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলদস্যুতা বিরোধী অভিযান ইউন্যাভফর (EUNAVFOR)-এর তথ্য অনুযায়ী, হামলার সময় অন্তত ১২ জন অভিযুক্ত জলদস্যু বাংলাদেশি জাহাজ আবদুল্লাহর ওপরে উঠে পড়েছিল বলে ভিজ্যুয়াল তথ্যে দেখা গেছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |